ইতিহাস বলছে, বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা তাদের প্রথম ম্যাচে কখনও হারেনি। সৌদি আরবের বিপক্ষে স্বাগতিক রাশিয়া ইতিহাসের সেই ধারা অব্যাহত রাখলো ভালোভাবেই। ৫-০ গোলের সহজ জয় দিয়েই শুরু করলো বিশ্বকাপ যাত্রা।
১৯৭৪ সাল থেকে আগের বারের চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর রীতি চালু হয় যে প্রথা টিকে ছিলো পরের ৮টি আসরে। তবে ২০০৬ সালে সেই ধারা পরিবর্তন হয়ে ফের আসে হয় স্বাগতিকদের দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর রীতি।
ফিফা র্যাংকিংয়ে রাশিয়ার অবস্থান ৭০ আর সৌদির ঠিক তার তিন ধাপ উপরে। তাই একটি ম্যাড়মেড়ে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর শঙ্কা ছিলো অনেকের মাঝেই। হলোও অনেকটা তেমনই। ম্যাচে রাশিয়া আধিপত্য বিস্তার করে খেলা রাশিয়া জিতলো বড় ব্যবধানে।
ম্যাচের শুরুর মিনিট পনেরো দুই দলই প্রায় সমানে সমানে লড়েছে। তবে ম্যাচের সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে স্বাগতিক রাশিয়া। বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি সৌদি আরব।
রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম গোলটি করলেন স্বাগতিক দলের ইওরি গাজিনস্কি। খেলার ১২ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে গ্লোভিনের বাঁকানো কিকে দারুণভাবে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান গাজিনস্কি।
এর তিন মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিলো রাশিয়া। তবে সৌদি গোলরক্ষকের দারুণ নৈপুণ্যে সে যাত্রায় রক্ষা পায় সৌদি।
ম্যাচের ২০ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ ছিলো সৌদির। তবে সাহলাবি হেডটা বার বাতাস লাগিয়ে বাইরে চলে যায়।
তবে ৪৩ মিনিটে দু’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে চেরশিভের দারুণ গোলে ব্যবধান বাড়ায় রাশিয়া।
প্রথমার্ধের ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয়টা একরকম পকেটে পুরেই ফেলেছিলো রাশিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আরও গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে রাশানরা। ফলও পায়; ৭১ মিনিটের গোল করেন জুইবা। যোগ করা সময়ে দুই গোল করে বড় জয় নিশ্চিত করে রাশিয়া। ৯১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন চারিশেভ। দুই মিনিট পর ফ্রিকিক থেকে সৌদির কফিনে শেষ পেকেটি ঠুকে দেন গ্লোভিন।
সূত্র:somoynews.tv;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.