এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও
প্রকৃতিতে এখন ভিন্ন আমেজ। সকালে মিষ্টি রোদ আর রাতে হালকা ঠান্ডা বাতাস। টিনের চালে কিংবা কলাপাতায় কুয়াশার সাথে শিশিরের টুপটাপ শব্দ নিয়ে যায় অন্য এক ভুবনে। এরই মধ্যে একটু দেরিতে হলেও ঈদগাঁও বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন নানা শাক-সবজি। মূলা, মূলা শাক, শসা সহ শীতকালীন আগাম নানা সবজি আসতে শুরু করেছে। তবে এসব সবজির দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় ক্রেতারা ফের বিপাকে পড়েছে। যার কারণে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগালের বাইরে এসব শীতকালীন সবজি। তবে বিক্রেতাদের মতে, শীতের সবজি আসার সময় এখনো পুরোপুর হয়নি।
শীত মৌসুম আসতে আরো বেশ কিছুদিন বাকী বললেই চলে। বিশেষ করে, ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁওসহ বৃহত্তর ছয় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট বাজারেও এসব শীতকালীন সবজি দেখা যায়। সবজি চাষীরা চাষ শুরু করেছেন মাত্র। এখন যা দেখা যাচ্ছে তার বেশি কিছুটা পূর্বেই ফলানো সবজি। আর তাই এসব সবজির পরিপুষ্ট কম বলে জানা যায়।
গেল সাপ্তাহিক হাটে ঈদগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ইতোমধ্যে হরেক রকমের শীতের সবজি চোখে পড়ে। নতুন আসা সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বিশেষ করে মূলা, শসাসহ অন্যান্য সবজি। এসব সবজি প্রতি কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি। বাজার করতে এসে নিত্যপণ্যের বাড়তি দরদামে ভোক্তারা অতিষ্ট। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সবজির দাম একটু কমতে পারে বলে জানান বিক্রেতারা। তাদের মতে, এবারের অতিবৃষ্টি ও অনেক স্থানে সবজির ক্ষেত পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে সবজি উত্পাদন করে বাজারে তুলতে একটু দেরি হচ্ছে। এসব শীতকালীন সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রতি আহবান জানিয়েছেন ক্রেতারা।
You must be logged in to post a comment.