এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে তিনদিন পর আবারো চার পরিবার থেকে এগারটি গরু চুরির খবর পাওয়া গেছে। প্রকৃত চোর সিন্ডিকেট চক্ররা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। গত কয়েকদিন পূর্বে গভীর রাতে ফাকা গুলি ছুড়ে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোমরিয়াঘোনা এলাকা থেকে তিন পরিবারের ৭টি গরু নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। কিন্তু গরুর মালিকরা জেলার সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরেও তাদের সেই সখের পালিত গরুর এখনো খোঁজ মিলেনি। এরই রেশ কাটতে না কাটতে ৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে একই ইউনিয়নের উত্তর মাইজ পাড়া এলাকায় হাজী আবদুল করিমের ৪টি, মৃত ইসলাম সওদাগরের ২টি, সেকান্দর আহমদের ৩টি ও মীর আহমদের বাড়ি থেকে ২টি গরু সহ মোট এগারটি গরু এক সাথে চোরদল নিয়ে যায়।
গরু চুরিরকালে স্থানীয় এক পথচারী চোরদলকে দেখে ফেললে তাকে চুরেরা মুখ-চোখ বেঁধে স্থানীয় কবর স্থানে নিয়ে বেঁধে ফেলে রেখে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চোর সিন্ডিকেট চক্ররা কৌশলে গরু গুলো নিয়ে যায়। তারাও সকাল বেলায় গোয়াল ঘরে গরু দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। গরু চুরির বিষয়ে স্থানীয় এমইউপি বজলুল রশিদ ও ব্যবসায়ী ছৈয়দ করিমের সাথে কথা হলে তারা- এলাকার চার পরিবার থেকে এগারটি গরু চুরি হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য যে, বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল থেকে সম্প্রতি গরু চুরির মত হীন কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ী সহ জনমনে চরম আতংক বিরাজ করছে। পাশাপাশি এই চোর সিন্ডিকেট চক্ররা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে বললেই চলে। তবে সচেতন মহলের মতে, এ বিশাল এলাকা জুড়ে যদি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সহায়ক হিসাবে কমিউনিটি পুলিশরা একটু সচেতন হয় তাহলে এলাকাতেই চোরের প্রবনতা অনেকটা কমে আসবে।
অপরদিকে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্বিতীয়বারের মতোও মাইজ পাড়া থেকে গরু চুরির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
You must be logged in to post a comment.