দীপক শর্মা দীপু; কক্সভিউ:
বিশ্বের অনেক সমুদ্র সৈকত দেখা হয়েছে, ভালোও লেগেছে। তবে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন, পরিস্কার ও দৃষ্টিনন্দন। এখানের সূর্যাস্তের দৃশ্য রোমাঞ্চকর। পরিচ্ছন্ন বালিয়াড়ির উপর দাঁড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে সুর্যাস্ত দেখে বিমোহিত হয়েছি। উদ্বেলিত হয়েছি। ৮ দেশের পর্যটন মন্ত্রীর উপস্থিতিত সাংবাদিকদের কথাগুলো বললেন জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সেক্রেটারী জেনারেল তালেব রিফাইও।
এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে সবাই একেকজন দূত হিসেবে কাজ করবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ৮ দেশের পর্যটন মন্ত্রীরা ২৮ অক্টোবর বিকালে হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজার বিমান বন্দর পৌছে। এরপর দ্রুত সুর্যাস্ত দেখতে লাবণী পয়েন্ট সমুদ্র সৈকতে যান। বর্ণিল সাজ আর লাল গালিচায় তাদের সাদর সম্ভাষন জানান জেলা প্রশাসন। বসার জন্য সু-সজ্জিচত চেয়ার রাখা হলেও মন্ত্রীসহ অন্যান্য ভিনদেশি অতিথিরা অপরূপ সূর্যাস্ত দেখতে কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ সমূদ্র ঢৈউয়ের কাছে গিয়ে কেউ ছবি তুলে, সেলফি তুলে, কেউ কেউ দলছুট হয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্যে নিজেদেরে আনন্দে মাতিয়ে তুলেন।
এসময় কম্বোডিয়ার পর্যটন মন্ত্রী নইচ ই টম সোপেয়াক বলেন, আমি যেমন এ সৈকতের সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয়েছি তেমনি অন্য সব পর্যটকরাও এ সৈকত দেখে বিমোহিত হবেন, খুশি হবেন। নেপালের রাষ্ট্রদূত এইচ কে সিরেস্তা বলেন, কক্সবাজার বিশাল সমূদ্র সৈকতকে বিশ্বাসীর কাছে যথাযথ ভাবে তুলে ধরার জন্য আমরা কাজ করবো।
সূর্যাস্তের স্মৃতিকে অমলিন করে রাখতে এবং বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সাথে বাংলাদেশের পর্যটন সংস্থার বাঁধন অটুঠ রাখতে বাংলাদেশ পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল দু’জনের হাতের মেলবন্ধনের ফ্রেমে ধরে রাখেন গতকালকের সূর্যকে। আফগানিস্থান, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল, কম্পোডিয়া, চায়া, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রী ও প্রনিধিরা এ দলে রয়েছেন। রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের পর্যটনশিল্পকে বিকশিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের এটি একটি অংশ।
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ও সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নানাবিধ প্রশিক্ষণের জন্য জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষতি হয়েছে। যা পর্যটন উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখবে। জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন বলেন, এ সফরের মাধ্যমে পর্যটনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। যার কারছে বিশ্বে বাংলাদেশের অন্যান্য পর্যটন অঞ্চলের সাথে কক্সবাজারের গুরুত্ব বেড়ে যাবে।
দু’দিনের সফরে ২৯ অক্টোবর সকাল ৭ টায় রামুর বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন শেষে সফরকারীরা সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার যোগে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।
You must be logged in to post a comment.