সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / গ্রেফতারি পরোয়ানা কাইছারের বিরুদ্ধে : জেলে গেছে কাইছার মিয়া

গ্রেফতারি পরোয়ানা কাইছারের বিরুদ্ধে : জেলে গেছে কাইছার মিয়া

প্রতিকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা; পেকুয়া :

কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় এক ফল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে সোর্পদ করে। প্রায় ১৭ঘন্টা থানা হাজতে আটকিয়ে হয়রানি করা হয় ফল ব্যবসায়ী এ যুবককে। একটি প্রতারণা মামলায় তার নাম ও ঠিকানা মিল রয়েছে। এ সুবাধে পেকুয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গত রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনী চৌরাস্তা মোডে নিজ দোকান থেকে ফল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পেকুয়া থানার এএসআই জয়নাল আবেদীন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম কাইছার মিয়া (৩১)। তিনি উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াকাটা এলাকার জাফর আলমের ছেলে। জানা গেছে নামে মিল থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই এলাকার জাফর আহমদের ছেলে মো.কাইছারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত মামলা রয়েছে।

মো.কাইছার এডরুক লিমিটেড নামে একটি মেডিসিন কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোম্পানি ঢাকা চীপ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২০১৬সালে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং-৯৪৩/১৬। কোম্পানির জৈষ্ট্য কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলটি দায়ের করেন। এ বিষয়ে ওই কোম্পানি তার অনুকুলে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। পরে মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মো.কাইছার মেডিসিন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। তার পদবি হচ্ছে মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার (এমআইও)।

অপরদিকে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হচ্ছেন কাইছার মিয়া। মামলায় গ্রেফতারি ফরোয়ানা রয়েছে মো.কাইছারের বিরুদ্ধে। কাইছার মিয়া ও মো.কাইছার দু’জন পৃথক ব্যক্তি। পিতার নামের মধ্যেও একজন জাফর আলম। অপরজন জাফর আহমদ। তবে ঠিকানা হুবুহু এক। মেডিসিন কোম্পানির কাইছার একজন শিক্ষিত যুবক। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দিয়ে কোম্পানির চাকুরিতে যোগদান করেছেন। কাইছার মিয়া একজন স্বল্প শিক্ষিত যুবক। সে ফল ব্যবসার সাথে জড়িত। তার দোকান থানা থেকে মাত্র দু’গজ দুরে চৌমুহনীতে। পুলিশ ওই মামলায় তার এলাকার মো.কাইছারের পরিবর্তে তাকে গ্রেফতার করেছে।

এ ব্যাপারে কাইছার মিয়া জানায় আমাকে রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ আটক করে। এএসআই জয়নাল আবেদীন আমার দোকানে এসে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। হাতকড়া ও পিছমোড়া বেঁধে ফেলে। আমার অপরাধ কি জানতে চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমাকে কিছু না বলে চোরের মত ধরে নিয়ে যায়। থানায় ১৭ঘন্টা আটকিয়ে হয়রানি করে। আমি বলেছি আমার বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমা ও ওয়ারেন্ট নেই। ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও আমি সেই কাইছার নয় বলে পুলিশ বারবার বলেছেন। কিন্তু পুলিশ কারো কথা শুনেনি। এরপর উপযুক্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করে আমি জামিনে বেরিয়ে এসেছি। পুলিশ অহেতুক আমার সাথে চরম অন্যায় করেছে। বিনা কারনে আমি জেল খেটেছি। পুলিশ নিরাপরাধ ব্যক্তির সাথে যে অন্যায় আচরন করেছে সেটি মানবাধিকারের চরম লঙ্গন করা হয়েছে। ন্যায় বিচারের পরিপন্থি অবিচার করা হয়েছে আমার প্রতি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/