মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
চকরিয়ার কাকারায় দু’দিন ব্যাপী খৎনা উৎসব চলেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের পুরুষদের খৎনা করানো ধর্মীয় দৃষ্টিতে সুন্নত হলেও এই খৎনা প্রতিটি ঘরের শিশুদেরই করানো হয়। একদশক পূর্বেও গ্রামীণ এলাকায় হাজেম হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিরা খৎনা করালেও পরে চিকিৎসাকরা মেশিনের মাধ্যমে খৎনার প্রচলন করেন। এই খৎনাকে ঘিরে অনেক পরিবারে উৎসবও পালিত হয়। কিন্তু এবার ঘটেছে ভিন্ন ধর্মী উৎসব। এই উৎসব অত্যধিক বেড়েছে খৎনা করানো শিশুদের গেঞ্জি, লুঙ্গি, খেলনা ছাড়াও ১ হাজার করে নগদ অর্থ প্রদান করায়।
গত শনিবার ও রবিবার দু’দিন ব্যাপী কাকারা ইউনিয়ন পরিষদে সাত’শ শিশুকে খৎনা করানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান।
কাকারা ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক বলেন, খৎনা করানো সাত’শজন শিশুর মধ্যে শতাধিক শিশুর বয়স ১৩ বছরের অধিক। বেশি বয়সি শিশুরা হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। অর্থাভাবে তাদের খৎনা করাতে বিলম্ব হচ্ছিল। তুরস্ক ভিত্তিক একটি বিদেশী এনজিও সংস্থা শিশুদের ফ্রি খৎনা করানোর পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তা দিচ্ছে জানতে পেরে তাদের সাথে যোগাযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান। পরে তারা ইউপি চেয়ারম্যানের সার্বিক সহায়তায় ইউপি কার্যালয়ে দুদিনে সাত’শ শিশুকে খৎনা করায়।
কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন, তুরস্ক ভিত্তিক একটি এনজিও সংস্থা রিবাট। গত শনিবার ৩৮০ জন শিশুকে খৎনা করা হয়। রবিবার ৩২০জন শিশুকে খৎনা করা হয়। এসব শিশুদের খৎনা করান তুরস্ক থেকে আগত দুই জনসহ মোট ৯জন চিকিৎসক।
You must be logged in to post a comment.