দুর্নীতি দমন কমিশন’র (দুদক) কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে অভিযুক্ত দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে দুদক। জনগণের টাকায় বেতন চলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর সেই জনগণকে হয়রানীর শিকার হতে হয় তাদের হাতে। এই নিয়ম ভেঙ্গে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে দুদক। বুধবার চকরিয়া বিজয় মঞ্চে আয়োজিত তথ্যমেলা ও গণশুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজন ও চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলাম। তথ্যমেলা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো: ইলিয়াছ, দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ ও গণসচেতনতা) ড. মো: সামশুল আরেফিন, দুদক পরিচালক মো: মনিরুজ্জামান, দুদক চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক আবদুল আজিজ ভুঁইয়া, জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ফেরদৌস আলী, টিআইবি ঢাকা বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিসেস ফজিলা খানম, চট্টগ্রাম বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার একেএম রেজাউল কবির আকাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।
সনাক চকরিয়ার সহ-সভাপতি নাসিমা আক্তার ও সদস্য হুরে জন্নাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নোমান। অনুষ্ঠানের পূর্বে দুর্নীতি বিরোধী একটি র্যালী পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
গণশুনাণীতে উপজেলা ভূমি অফিস, সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস, উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নানা অনিয়ম-বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরেন এলাকার ভুক্তভোগীরা।
সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল হাকিম, চিংড়ি ঘের ও খাস জমি ইজারায় অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চকরিয়ার কমান্ডার হাজী আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে খতিয়ান সৃজনের ডকুমেন্টসহ অভিযোগ করেন চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর লক্ষণ কান্তি দাশ। এসব অভিযোগ সত্য-মিথ্যা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
You must be logged in to post a comment.