মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের কাজী মার্কেটস্থ কেন্ডি ফাস্ট ফুড থেকে নিয়ে যাওয়া বিরাণী খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া পেকুয়ার একই পরিবারের চারজনের মধ্যে দুই শিশুকন্যা মিলি (৪) ও মাহিয়া (৮) মারা গেছে। তাদের মা ইয়াছমিন আক্তার বুলু (২৭) ও বাবা মিজানুর রহমান (৩৫) সঙ্গাহীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা নিচ্ছেন। ততমধ্যে মা বুলুর অবস্থা আশংকাজনক। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারনে মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে হাসপাতাল সুত্র জানায়। মিলি মারা যায় মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ও তার বড় বোন মাহিয়া বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চমেক হাসপাতালে মারা যায়।
নিহত শিশুদের মামা ডুলাহাজারার আবদুশ শুক্কুর বলেন, পেকুয়ার বাগগুজারা এলাকার আমার ভগ্নিপতি গাড়ী চালক মিজানুর রহমান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চকরিয়া পৌর শহরের কাজী মার্কেটস্থ কেন্ডি ফাষ্ট ফুড থেকে নিজে ভাত খাওয়ার পর পরিবার সদস্যদের জন্য বিরাণী নিয়ে যায়। রাতে ওই বিরাণী খেয়ে আমার বোন ইয়াছমিন, ভাগিনী মাহিয়া ও মিলি অসুস্থ হয়ে পড়ে। মধ্যরাতে ভগ্নিপতি মিজানও অসুস্থ হয়ে পড়ে। আত্মীয় ও পাড়ার লোকজন তাদের চকরিয়ার জমজম প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায় রাত ১০টায়। কর্তব্যরত চিকিত্সক শিশু মিলিকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক চিকিত্সা দিলেও শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটায় মাহিয়া, তার মা ও বাবাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। বুধবার সকালে মাহিয়াও মারা যায়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো: মাসুদ আলম বলেন, চমেক হাসপাতালে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারনে মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় মারা যাওয়া শিশু মিলির মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে ময়নাতদন্ত করতে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ অভিযোগ না দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিতে বিরাণীর প্যাকেট থেকে সংগ্রহ করা নমুনা খাবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.