মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়া হাজার টাকা মানের দুটি জাল নোটের মালিক অজুহাতে লবণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে আটকের ১২ ঘন্টা পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসির বিরুদ্ধে। তবে, টাকা নেয়ার ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন আইসি তোফাজ্জল হোসেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বরইতলী-মগনামা সড়কের পহরচাঁদা মাদ্রাসা এলাকা থেকে আটক করা হয় পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার কাসিম আলীর ছেলে আবদুল করিম (৩৫)কে। বরইতলীর নতুন রাস্তার মাথার জনৈক ফল ব্যবসায়ী পুলিশকে হাজার টাকা মূল্যমানের দুটি জাল টাকার নোট দিয়ে ওই টাকা আবদুল করিম দিয়ে গেছে বলায় তাকে আটক করা হয়।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয় আবদুল করিমকে।
মুক্তি পাওয়ার পর আবদুল করিম অভিযোগ করে বলেন, আমি লবণ ব্যবসায়ী। চট্টগ্রামে লবণ দিয়ে ওই রাতে বাড়ি ফিরছিলাম। বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা থেকে বাড়ির জন্য আঙ্গুর নিয়ে সিএনজি চালিত টেক্সি করে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিই। এসময় পিছু ধাওয়া করে পুলিশ আমাকে আটক করে হারবাং ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
করিম আরো বলেন, জাল টাকার সাথে আমি কোন ধরনের সংযুক্ত না থাকলেও শুক্রবার সকালে পুলিশ ফাঁড়ির আইসি নগদ ২০ হাজার টাকা, ফল ব্যবসায়ী ২হাজার টাকা ও ফাঁড়ির কয়েকজন কনস্টেবেল ৮’শ টাকা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। ফল ব্যবসায়ীর যোগসাজসে হয়রানি ও আমার কাছ থেকে ঘুষ আদায় করা হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো.তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই লোক থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি। দুটি জাল টাকা ফেলেও তা কার সঠিকভাবে জানা যায়নি। করিমকে নিরাপরাধ মনে হওয়ায় ওসি স্যারের অনুমতিক্রমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরিবার সদস্যদের কান্নাকাটির কারণে উপকার করায় উল্টো অভিযোগের শিকার হতে হলে করার কিছুই থাকেনা।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। প্রকৃত কি হয়েছে খতিয়ে দেখছি। ফাঁড়ির পুলিশ দায়ি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.