বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের আয়োজন থেকে পাহাড়ি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আয়োজন কিছুটা ভিন্ন। বৈসাবি’র শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। এবারের উৎসবে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তিন পার্বত্য জেলার আদিবাসীদের জন্য আলাদা দুদিন ছুটি ঘোষণা করায় খুশি আদিবাসী সংগঠনের নেতারা।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে চাকমারা বিজু, ত্রিপুরারা বৈসুক ও মারমারা সাংগ্রাই উৎসব পালন করেন। ভিন্ন নাম হলেও সমতলের মানুষদের কাছে এটি বৈসাবি উৎসব নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে ফুল বিজুর মাধ্যমে ১২ই এপ্রিল যে অনুষ্ঠান শুরু হবে, তা শেষ হবে পানি খেলার মাধ্যমে। কাপ্তাই হ্রদে ঐতিহ্যবাহী পোষাকে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে শুরু হবে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
আর এই দিন ফুল দিয়ে ঘর সাজানো হয় বলে একে বলা হয় ফুল বিজু। এর পরের দিন ঘরে ঘরে রান্না হয় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাচন। একে বলা হয় মূল বিজু। বিজু, বৈসুক, সাংগ্রাই আদিবাসী উৎসব কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, ‘দাবি ছিল যে, আমাদের প্রতি বছর যাতে বিজু উৎসব উপলক্ষ্যে ছুটি দেওয়া হয়। সরকার এ বছর থেকেই ওইটা শুরু করেছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রামে ১১ ভাষাভাষী গোষ্ঠীর ১৩টি আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে। প্রতি বছর এই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন আদিবাসী তরুণীরা। এ ছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈসাবী উৎসব পালনে প্রস্তুত জেলা প্রশাসনও। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. মনজুরুল মান্নান বলেন, ‘পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী সবার সঙ্গে সমন্বয় হয়েছে। অনুষ্ঠানগুলোতে আমরা যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো।’
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.