গিয়াস উদ্দীন ভুলু, টেকনাফ :
কক্সবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ স্থলবন্দরের কাঠ ব্যবসায়ীরা পরিবহনের গ্যারাকল থেকে মুক্তি পেতে এমপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্বারকলিপি প্রদান করেছে। তবে কাঠ বোঝাই ট্রাক থেকে ইয়াবা উদ্ধার নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। এদিকে ২৯ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১ টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের কাঠ ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির ব্যানারে ব্যবসায়ী আজগর হোছাইন, জাহেদুল আলম, শাখাওয়াত হোসেন, আবুল হাশেম, মাষ্টার আব্দুল হামিদ, আবুল কালাম, ইউসুফ খান, নূরুল আলম, দেলোয়ার হোসেন ও মোঃ হোসনের নেতৃত্বে একদল কাঠ ব্যবসায়ী কাঠ পরিবহনে ভোগান্তি ও হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ও টেকনাফ মডেল থানার ওসির বরাবরে লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছে।
এতে পরিবহনের সমস্যার কারনে নানা ভাবে হয়রানী ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন। ২০০৫ সাল থেকে টেকনাফ স্থল বন্দর কাঠ ব্যবসায়ীরা সরকারকে কর ও ভ্যাট দিয়ে মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ আমদানি করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সর্বরাহ করে। এ কাঠ সরবরাহের জন্য টেকনাফ নতুন বাস টার্মিনালস্থ ট্রাক ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষের চালান ইস্যুর মাধ্যমে কাঠ পরিবহন করতে ট্রাক স্থল বন্দরে প্রেরণ করে। এরপর ট্রাকে আমদানিকৃত ও শুল্ক পরিশোধিত কাঠ বোঝাই করে স্থল বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। তবে কাঠ পরিবহনে কিছু অসাধু চালক ও হেলপাররা সুকৌশলে ট্রাকের যন্ত্রাংশের ভিতরে মাদক পাচার কালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হয়। এতে কাঠ গুলো জব্দ করে নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
এতে আরও উল্লেখ করেন, আগে ট্রান্সপোর্ট কতৃর্পক্ষের সাথে কাঠ ব্যবসায়ীদের বৈঠকে হয়। এতে ট্রাকের আড়ালে ইয়াবা পাচার না করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ট্রাকের ভেতরে ইয়াবা পাওয়া গেলে তা ট্রাক মালিক, চালক ও হেলপার দায়ী থাকবে। কাঠ ব্যবসায়ীগণ বা পরিবহনকৃত কাঠ দায়ী থাকবে না। তবে কতিপয় দূর্লোভী চালক ও হেলপার কাঠ ব্যবসায়ীদের অগোচরে কাঠের গাড়ীতে মাদক পরিবহন করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অবৈধ মাদক উদ্ধার করে। এতে অনেক সময় পরিবহণে নিয়োজিত মালিক, চালক ও হেলপারের বিরুদ্বে ব্যবস্থা না নিয়ে নির্দোষ ও নিরাপরাধ কাঠ ব্যবসায়ীদের হয়রানী, নাজেহাল ও পরিবহনকৃত কাঠ জব্দ করা হয়। এমনকি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্বে মামলা এবং রাজস্ব প্রদানকৃত কাঠ সমূহ বন বিভাগে জমা দেওয়া হয়। এতে কাঠ ব্যবসায়ীগণ আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তসহ নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হচেছ।
২৬ নভেম্বর সন্ধায় টেকনাফ স্থল বন্দর থেকে (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৪৮৫৭) নাম্বার ট্রাকে কাঠ পরিবহন কালে টেকনাফ বিজিবি দমদমিয়া চেকপোষ্টে গাড়ী তল্লাশি করে যন্ত্রাংশের ভিতর থেকে একটি ইয়াবার চালান আটক করে। এ সময় ট্রাক চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। এতে পরিবহনে থাকা কাঠ গুলো জব্দ করে বন বিভাগে জমা দেওয়া হয়। এভাবে বিভিন্ন সময় টেকনাফ ট্রান্সপোট কর্তৃপক্ষের গাফেলাতির কারনে অতীতেও আমরা অনেকবার ঝামেলার পরেছি। তবে মাদক ইয়াবা পাচার নিয়ে একাধিকবার ট্রান্সপোট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করা হলেও অসাধু চালক ও হেলাপারদের কারনে এ সমস্যায় পড়তে হচেছ।
কাঠ ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহনের সমস্যার কারনে বন্দরে কাঠের কার্যক্রম বর্জন করা হয়েছে। পরিবহনে মাদক পাচার ও হয়রানী বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বর্জন অব্যাহত রাখা হবে। এর ফলে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। এ দূরাবস্থা থেকে উত্তোরনে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
You must be logged in to post a comment.