টেকনাফ সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি করে সর্বস্ব লুট। ৫ ডিসেম্বর শনিবার ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী বালিকা মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদল নোহা মাইক্রোর যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইলসহ কাগজপত্র লুট করে ব্যাপক মারধর চালানো হয়েছে।
জানাযায়, গত শুক্রবার রাতে টেকনাফ শিলবনিযা পাড়ার মৃত হাজী বশত করিমে ছেলে ছৈয়দ নুর মৃত্যু বরণ করে। এ মৃত্যুর খবর পেয়ে তার ছেলে নুর কামাল, মেয়ে ও জামাতাসহ পরিবারের ৭ জন সদস্য চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফের চট্টমেট্রোচ-১১-৬৬০২ নাম্বার নোহা যোগে আসার পথে ওই সময় টেকনাফ হোয়াইক্যংয় খারাংখালী বালিকা মাদ্রাসার সামনে পৌছলে সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে একদল মুখোশধারী ডাকাত নোহার চালক মোঃ ইয়াছিন ও যাত্রীসহ ৮ জনকে নামিয়ে পৌনে এক ঘন্টা আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করে তাদের কাছে থাকা প্রায় ৩০ হাজার নগদ টাকা, কিছু স্বর্ণের গহনা, ৮টি মোবাইল ও পাসর্পোটসহ কাগজ পত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতদল ছেড়ে দিলে কিছু দূর সামনে এসে খারাংখালী এলাকায় পুলিশের দেখা মিললে বিষয়টি তাদের জানানো হয়।
ডাকাতের কবলে পড়া ভূক্তভোগীরা জানান, শুক্রবার রাতে পিতার মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ী আসার পথে কয়েকজন মুখোশধারী ডাকাত সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে মারধর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণাকার, মোবাইলসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ যেখানে থাকার কথা সেখানে না থাকায় সুযোগ বুঝে ডাকাতরা ডাকাতি করছে। এ সব ডাকাতি বন্ধ না হলে সড়ক দিয়ে চলাচল করা দূরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। সড়ক ডাকাতি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে ভোর বেলা হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ পাড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের কোন পুলিশ সেখানে ছিলেননা। পরে ডাকাতির খবর পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের এএসআই আব্দুল কায়ুমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানায়।
You must be logged in to post a comment.