সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ : পর্যটক অপহরণে জড়িত জেএসএস ও এএলপি

ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ : পর্যটক অপহরণে জড়িত জেএসএস ও এএলপি

Kidneep - Rafiq Lama 30.10.15 (news & 1pic) f2মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা:

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা সীমান্ত এলাকা থেকে অপহৃত দুই পর্যটকসহ ৩জন অপহরণের ঘটনার সাথে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএস জড়িত রয়েছে মর্মে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে অপহরণ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আটক ৭জন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আটককৃতরা।

আসামীদের দেয়া তথ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান আরো জোরদার করেছে যৌথবাহিনী। তাদের প্রদত্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে চলমান অভিযানে শীঘ্রই সফলতা আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

এদিকে যৌথবাহিনীর অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে আটক অপহৃত ট্যুরিষ্ট গাইড মাংচার ম্রো’র বড় ভাই প্রাছিং ম্রো, ইউপি সদস্য অনচন্দ্র ত্রিপুরা ও ইয়ংরুং ম্রো, স্থানীয় বাসিন্দা মেনচং ম্রো, জয়পাল বড়ুয়া, মেনপ্রু ম্রো এবং রিংরাও ম্রোকে গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, অপহরণ ঘটনা মামলার অন্যতম আসামী প্রাছিং কারবারীসহ ৭জনকে গোয়েন্দা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের জেএসএস এর নেতাকর্মী দাবী করে দুই পর্যটকসহ ৩ জন অপহরণের দায় স্বীকার করেন।

তারা আরো জানান, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবীতে পার্বত্যাঞ্চলে অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। এই অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়ার আগে মিয়ানমারে গিয়ে জেএসএস এর কিছু নেতা মিয়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদী দল আরকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি) সাথে গোপন বৈঠক করেন।

উক্ত বেঠকে পার্বত্য জেলা থেকে সরকারী বেসরকারী লোকজনকে স্থানীয় জেএসএস সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি’র) হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অপহৃত পর্যটকদের উদ্ধার করতে গিয়ে দুই দফা সন্ত্রীদের সাথে যৌথ বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় এক গ্রাম পুলিশ নিহত হয়। আরাকান লিবারেশন পার্টির সদস্যরা তাদের শক্তি জানান দিতে এবং আধিপত্য বিস্তার করতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারী যৌথবাহিনীর সদস্যদের উপর সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি বর্ষণ করে মর্মে তারা স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।

মিয়ানমারে জেএসএস এর সাথে এএলপি’র বৈঠকের পর সিদ্ধান্তের অংশ হিসাবে দুই পর্যটককে অপহরণের পর এএলপি’র হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে আটককৃতরা স্বীকার করেছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরো জানান, আটকৃতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে অপহৃত দুই পর্যটক এখনো সুস্থ ভাবেই বেঁচে আছে।

তারা জানান, সরকারকে চাপে ফেলতে জেএসএস ও এএলপি’র সন্ত্রাসীরা মিলে দুই পর্যটক অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে।

উল্লেখ্য, ৪ অক্টোবর ঢাকা মিরপুরের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল্লাহ আল জোবায়ির ও মোঃ জাকির হোসেন মুন্না নামে দুই পর্যটক স্থানীয় গাইড মংসাই ম্রোকে নিয়ে বান্দরবানের রুমা উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা রাঙ্গামাটি বিলাইছড়ি বড়থলি পাড়ার নতুন পুকুর পাড় এলাকায় বেড়াতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন।

ঘটনার পর থেকে অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র ৭টি যৌথদল বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি-ভারত এবং মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে আসছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/