সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / ঢলের পানিতে সাঁকো ভেঙ্গে খালে : ঝুঁকি নিয়ে ছড়াখাল পার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ

ঢলের পানিতে সাঁকো ভেঙ্গে খালে : ঝুঁকি নিয়ে ছড়াখাল পার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ

 

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

সোমবার দুপুর দেড়টা। নৌকায় ছড়ে ঝুঁকি নিয়ে ছড়াখাল পার হচ্ছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরা সবাই চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের আর.কে নুরুল আমিন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। এসময় কথা হয় তাদের সাথে।

৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাহেদ হোসেন বলেন, প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। এখানে একটি বাঁশের সাঁকো ছিল কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া বন্যার পানির স্রোতে সাঁকোটি ভেঙ্গে গেছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে হলেও পরীক্ষা দেয়ার জন্য পার হতে হচ্ছে।

একই স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী তানিয়া আক্তার। তারও পরীক্ষা চলছে। তারা সবাই দল বেঁধে স্কুলে যাচ্ছে পরীক্ষা দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, খালটি পার হওয়ার সময় খুব ভয় লাগে। সম্প্রতি বন্যার পানি কারণে খালে পানি বেড়ে যাওয়ায় স্রোতও বেশি। নৌকায় করে খালটি পার হওয়ার সময় শুধু আল্লাহকে ডাকি। তার সাথে সুর মিলিয়ে অন্য শিক্ষার্থীরাও একই কথা বলতে লাগলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের হদ্দাচোরা এলাকার এই গ্রামটিতে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। এরা সবাই মৎস্য চাষের সাথে জড়িত। আর এদের চলাচলের একমাত্র বাঁশের তৈরী সাঁকোটি। কিন্তু গত চারদিনের ভয়াবহ বন্যার স্রোতে সাঁকোটিও ভেঙ্গে যায়। এতে চলাচলে নেমে আসে দারুণ কষ্ট। তাদের নৌকাই যাতায়াতের একমাত্র সম্বল।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, একটি ছোট নৌকায় করে ১০-১৫ জনের একদল শিক্ষার্থী ছড়াখালটি পার হচ্ছেন। ওই নৌকায় নেই কোন মাঝি। দুই তীরে রশি বেঁধে রেখেছে নৌকার মালিক। ওই রশি টেনে নৌকায় করে পার হচ্ছেন ওইসব শিক্ষার্থীরা।

কথা হয় নৌকার মালিক মোহাম্মদ ইউনুছের সাথে। তিনি বলেন, জনপ্রতি ৫টাকা করে নেয়া হয় নৌকা দিয়ে পার হতে। যার যখন প্রয়োজন হয় সেই ওই নৌকাটি রশি টেনে বেয়ে পার হচ্ছে। সারাদিন নৌকা চালানো সম্ভব নয়। তাই দু’তীরে একটি রশি বেঁধে দেয়া হয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই সাঁকোটি পুন:মেরামতের জন্য চেয়ারম্যানের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি। না হলে গ্রামের শিক্ষার্থী ছাড়াও এলাকার মানুষদের চলাচলে দারুণ কষ্ট পোহাতে হবে। আর এতে যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনারও সম্ভাবনা রয়েছে।

এব্যাপারে পূর্ব বড় ভেওলার চেয়ারম্যান মো.আনোয়ারুল আরিফ দুলাল বলেন, চারদিনের বন্যায় পানির স্রোতের কারণে বাঁশের তৈরী সাঁকোটি ভেঙ্গে গেছে। সাঁকোটি বন্যার বেশ কয়েকদিন আগে নির্মাণ করা হয়েছে। ছড়াখাল থেকে পানি কমে গেলে সাঁকোটি পুন:নির্মাণ করে দেয়া হবে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রাতিককালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঢলের পানি স্রোতের কারণে হয়তো সাঁকোটি ভেঙ্গে গেছে। এব্যাপারে দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা এবং নৌকাটির মাঝি যাতে ওই এলাকার মানুষদের সার্বিক সহযোগিতা করে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/