বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ও রামু উপজেলার ঈদগড়- সংযুক্ত সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তিন ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের চলাচলের মাধ্যম এই সড়কটি। কিন্তু বিকল্প সড়ক না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের চড়তে এবং ড্রাইভারকে চালাতে হচ্ছে যানবাহনগুলো। সড়কটিতে বাস, সিএনজি কাদাঁয় পিচ্ছিলে গিয়ে প্রতিনিয়ত খাদে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা স্বীকার হচ্ছে যাত্রীরা।
এছাড়া চলতি বছরে গত কয়েক মাসে ৪ দফা ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে দীর্ঘ ২৩ কিঃমিঃ পাঁকা সড়কটির বেশ কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন এবং অধিকাংশ জায়গায় খানখন্দসহ পুকুরের রূপ ধারন করেছে।
সড়কের মিনিবাস মালিক সমিতির পরিচালনা কমিটির সদস্য উছাহ্লা চাক বলেন, বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ের ঢলে যোগাযেগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পাহাড়ের মাটি এসে সড়কটি ভরাট হয়ে কাদায় গাড়ী চলাচল একেবারে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বেশীর ভাগ মাটির কাদায় ইঞ্জিন অচল হয়ে গাড়ী গুলো অকেজো হয়ে পড়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের আড়াই লাখের অধিক মানুষের চলাচল ও যানবাহন চলাচলের একমাত্র পাঁকা সড়ক। এ সড়কটি বর্ষার মৌসুমে প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যায় সড়কের দু’ধারে সারিবদ্ধ গ্রাম পাল পাড়া, ভোমরিয়াঘোনা, হিমছড়িঢালা, অর্জূনবাগান, ঘুমচাকাটা, বৈধ্যপাড়া, অলিরঝিরি, বেংডেবা, হাজির পাড়াসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভেঙ্গে বিশাল গর্তে রুপ নিয়েছে। যার ফলে তিন ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে যাতায়ত ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
এটি কক্সবাজার জেলা শহর ও বান্দরবান জেলা শহরে যাওয়ার সড়ক। বর্তমানে সরাসরি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার চলাচলের মহাসড়কটির সাথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় ভাঙ্গনের ফলে বাইশারীর, ঈদগড় হয়ে ঈদগাওঁর যাওয়ার শেষ ভাঙ্গাটি পার হয়ে সাড়ে তিন কিঃমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে মহাসড়কে যেতে হয়।
এতে করে মুমূর্ষু রোগীদের কাঁধে বহন অথবা অন্য কৌশল অবলম্বন করে নিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া তিন ইউনিয়নের রাবার ও রবি শষ্য ফল ফলাদি যথা সময়ে বাজারে পৌছাতে না পেরে পঁচন ধরেছে বলে জানালেন স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ।
ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্রো বলেন ইদগড় ঈদগাঁও ১৩ কিলোমিটার সড়কের জন্য ৭ কোটি ১০ লাখ টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। অচিরেই সড়কটি মেরামতের কাজ শুরু হবে।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক বলেন,বিগত দিনে বাইশারী ঈদগড় সড়কটি এলজিইডির অধীনে ছিল। এখন সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে চলে গেছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
এবিষয়ে বান্দরবান জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মোঃ ইউছুফের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি এবং সড়কটি বিগত দিনে এলজিইডির অধীনে ছিল তাই কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.