ওরা দেড়শ পরিবার, জনসংখ্যা হাজারেরও অধিক, বাসিন্দা কক্সবাজার পৌরসভার। অথচ নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত। কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে নাপাঞ্জা পাড়ায় বসবাসরত এসব জনগোষ্ঠীর একমাত্র চলাচলের রাস্তা নাপাঞ্জা মসজিদ রোড এই ভরা শুষ্ক মৌসুমেও কাদায় একাকার। বিগত ২০০৭ সালে ঝিলংজা ইউনিয়ন থেকে পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত এই এলাকায় আজ অবধি কোন উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি। ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় ব্রিক সলিং আধা কাঁচা সড়কটি এখন খানা-খন্দকে পরিণত হয়েছে। ছোট যানবাহন চলাতো দূরের কথা স্বাভাবিক পথ চলতেই নাপাঞ্জা পাড়া মসজিদ রোডের বাসিন্দারা থমকে যাচ্ছে। দুর্গন্ধযুক্তপয়ঃ নিষ্কাশনের পানি ও কাদা মাড়িয়ে পথ চলছে স্কুল-কলেজগামী ছাত্র/ছাত্রীসহ আবাল বৃদ্ধ বণিতা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সমাজ কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম মিজান ক্ষুব্ধ স্বরে জানান-অনেক আশা নিয়ে আমরা পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলাম। এটি যে ভুল ছিল তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। পৌরসভার ট্যাক্স গুণতে হয়রান হলেও কোন উন্নয়ন বরাদ্দ দীর্ঘ ৮ বছরেও এলাকায় যায়নি। এখন দেয়ালে পিট ঠেকে গেছে। অতি সহসাই এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে পৌরসভা ঘেরাওয়ের কর্মসূচী দেব। নাপাঞ্জাপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ শাহনেওয়াজ চৌধুরী জানান- সড়কের দৈন্যদশায় সব চাইতে দুর্ভোগে পড়ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে প্রত্যহ মসজিদে আসা মুসুল্লীরা।
লারপাড়ার সমাজ সেবক জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম, আবদুল মান্নান জানান- পৌরসভা ট্যাক্স নেবে, অথচ উন্নয়ন দেবে না তা যেন উন্নয়ন বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সাথে প্রতারণা। স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার ওমর সিদ্দিক লালু জানান-গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির টেন্ডার, ওয়ার্ক অর্ডার সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
You must be logged in to post a comment.