কক্সবাজারে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ্যপুস্তকের প্রজনন এবং যৌন স্বাস্থ্য বিষয়টি পড়াতে শিক্ষকদের বিব্রত বোধের কারণে সঠিক তথ্য পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। নারী শিক্ষার্থীরা বিব্রত হলেও প্রয়োজনের তাগিদ রয়েছে তাদের। তবে এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনও সজাগ নয়।
কিশোর কিশোরীদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থার সিলেবাসে বাধ্যতামূলক ভাবে যুক্ত করা হয় শারীরিক শিক্ষা (প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্য) বিষয়টি।
৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন একটি অধ্যায়ে বয়ঃসন্ধিকালের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, যৌন স্বাস্থ্য, নির্যাতন, নিপীড়ন ও প্রজননসহ শারীরিক পরিবর্তনের বিভিন্ন বিষয়ে করণীয় এবং মোকাবেলার কলা কৌশল সম্পর্কে এ সব পাঠ্য বইতে ধারণা দেয়া হয়েছে।
জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে রয়েছে ৪শ’ ৯৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পাঠ্য পুস্তকের এ বিষয়গুলো পড়তে ও পড়াতে বেশি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সবাইকে।
কক্সবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানালেন, বিব্রত বোধের কারণে পাঠদানে সমস্যার কথা তিনি অবগত না।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কক্সবাজার জেলার মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে স্পর্শকাতর এ বিষয়টির কৌশলী পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
You must be logged in to post a comment.