বিকল্পধারার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং যুগ্ম মহাসচিবকে অব্যাহতির কথা জানিয়ে দুই জনের নিজেকে নেতা ঘোষণার পেছনে বিএনপির হাত দেখছেন মাহী বি চৌধুরী। বলেছেন, দলের বহিষ্কৃত নেতাকে নিয়ে এসব কাজ করা নোংরামো ছাড়া আর কিছু নয়।
শুক্রবার নুরুল আমিন বেপারীকে এবং শাহ আহম্মেদ বাদল নামে দুই জন নিজেদেরকে বিকল্পধারার যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহী বি চৌধুরীকে তারা অব্যাহতি দিয়েছেন।
আর এর প্রতিক্রিয়ায় মাহী বি. চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, দলের সভাপতিকে কারা অব্যাহতি দিতে পারে।
বিকল্পধারার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে বলেন, ‘এটা হাস্যকর। আর এ নিয়ে মন্তব্য করাটাও হাস্যকর হবে।
এ ঘটনার পেছনে বিএনপির ইন্ধন আছে বলেও শুনতে পাওয়ার কথা জানান মাহী। বলেন, ‘বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো কতটা দেউলিয়াপনার পরিচয় দিচ্ছে, এ ঘটনা তারই দৃষ্টান্ত।’
ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, বিএনপি, নাগরিক ঐক্য এবং জেএসডি মিলিয়ে যে ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়েছে, তাতে থাকার কথা ছিল বিকল্পধারারও। তবে বিএনপিকে জামায়াত ত্যাগের শর্ত দিয়ে শেষমেশ ছিটকে পড়ে বিকল্পধারা।
বি. চৌধুরী ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাকে করা হয় রাষ্ট্রপতি। মুন্সিগঞ্জে তার ছেড়ে দেয়া আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন মাহী চি. চৌধুরী।
তবে ২০০২ সালে অপমান করে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয় বি. চৌধুরীকে। আর পরে ২০০৪ সালে তিনি গঠন করেন বিকল্পধারা।
মাহী জানান, যারা তাদেরকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা বিকল্পধারার কেউ নন।
‘যারা নতুন করে একটা দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন, তারা সবাই বহিষ্কৃত। বহিষ্কৃকরা মিলে এভাবে একটা দল গঠন করেছে। এর পেছনে কারা আছে, সেটা আমরা জানি। এটা আসলে একটা নোংরা রাজনীতির নিদর্শন। রাজনৈতিকভাবে যারা দেউলিয়া, তারা এই ধরনের কাজ করেই থাকেন। কাজেই এ ক্ষেত্রে মন্তব্য করার কিছুই নেই।’
নিজেদেরকে নেতা ঘোষণা করা কারা বহিষ্কৃত- জানতে চাইলে মাহী বলেন, ‘তাদের মধ্যে একজন তিন বছর আগেই বিকল্পধারা থেকে নিজেই পদত্যাগ করেছিলেন। বাকি দুইজন বহিষ্কৃত। এখন তাদের এ ধরনের ঘটনা হাস্যরসের খোরাক যোগায়।’
সূত্র:deshebideshe.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.