মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
দ্বিতীয় দফায় ৩দিনের টানা ভারী বর্ষণে আবারো প্লাবিত কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার উপজেলার নিম্নাঞ্চল। মাতামুহুরী নদীর পানি বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা-আলীকদম পানিতে সয়লাব। দু:খের-সুখের পাহাড়ের মাঝ দিয়ে ভয়ে আসা মাতামুহুরী নদীর প্রস্থ সরু হওয়ায় লামায় আটকে রয়েছে পানি। ওই পানি ভাটির দিকে নামার সাথে সাথে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বেড়েই চলছে ঢলের পানি।
রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় মাতামুহুরীর চিরিংগা ব্রীজ পয়েন্টে ঢলের পানি বিপদ সীমানা ছুই ছুই অবস্থায় ছিল। এসময় দ্রুত গতিতে বাড়ছিল পানি। ফলে, চকরিয়ার ভরাট ছড়াখাল দিয়ে পানি নদীতে বের হতে না পারায় সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাংসহ বেশ ক’টি ইউনিয়নের ২৫টির বেশি গ্রামে মানুষ জলাবদ্ধতায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নদীর পানি আরেকটু বাড়লেই বসতি এলাকায় পানি প্রবেশ করবে বলে নদী তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোর জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান ও সুরাজপুর-মানিকপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, আমাদের ইউনিয়ন দুটি একেবারে মাতামুহুরী নদী লাগোয়া। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে এবং মাতামুহুরী নদীতে পানি বাড়তে থাকলে আবারো বন্যা হবে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়বে শত শত পরিবার।
এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে এবং উজান থেকে পানি নিচের দিকে নেমে আসলে আবারো বন্যা হবার সম্ভাবনা রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের বন্যার অবস্থা পর্যবেক্ষণে রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.