যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু (ন্যাচারাল লাইফ) কারাবাস, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার আমলে হওয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেছে আসামি পক্ষ। আতাউর রহমান মৃধা নামে এক আসামির আমৃত্যু কারাবাসের রায়ের বিরুদ্ধে এ আবেদন করা হয়।
বিষয়টি সুরাহার জন্য সুপ্রিম কোর্টের চারজন সিনিয়র আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ অ্যাটর্নি এ আদেশ দেন। আগামী ৯ মে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
চারজন অ্যামিকাস কিউরি হলেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এএফ হাসান আরিফ, মনসুরুল হক চোধুরী ও আবদুর রেজাক খান। বৃহস্পতিবার আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সাভারের এক হত্যা মামলার আপিলের রায়ের সময় ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে আমৃত্যু কারাবাস’ (ন্যাচারাল লাইফ) বলে মতামত দেন আপিল বিভাগ।
২০০১ সালে সাভারে জামান নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় ২০০৩ সালে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। আপিলের পর বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল থাকে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত। রায় ঘোষণার সময় আপিল বিভাগ ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে আমৃত্যু কারাবাস’ এমন মন্তব্য করেন বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তবে ওই দিন অন্যান্য মামলার আসামির ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে কিনা সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, সকলের ক্ষেত্রে এ রায় প্রযোজ্য হবে কিনা, সেটি পূর্ণাঙ্গ রায় না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না।
একই দিন খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, রায়ের সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস। তখন আমি এর প্রতিবাদ করেছি।
তিনি বলেন, আমি বলেছি, দণ্ডবিধির ৫৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ ৩০ বছর। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা কারাগারে রেয়াত পেয়ে দণ্ড আরও কমে আসে। যদি আমৃত্যুই হয়ে থাকে, তাহলে তাদের রেয়াতের কি হবে? আমি আরও বলেছি, প্রধান বিচারপতির এ মন্তব্য যেন মূল রায়ে না থাকে। তবে যদি থাকে, তাহলে সব আসামির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।
সূত্র:somoynews.tv-ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.