মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
লামায় বিচার প্রার্থী হওয়ায় যুবলীগ নেতাকে পিটালো প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী নেতার ছেলে। ৪ মার্চ সোমবার লামা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড নয়াপাড়া হাইস্কুল সামনে দুপুর ২টায় এঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত আমির হোসেন (৪২) লামা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড নয়াপাড়া এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে।
জানা যায়, নয়াপাড়া এলাকার মোঃ মুমিনুল ইসলাম (৩৫) পিতা- আজিজুর রহমান যুবলীগ নেতা আমির হোসেনের পিতার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। উক্ত টাকার বিষয়ে গত ২২ জানুয়ারী গ্রামের গণ্যমান্য সকলের উপস্থিতিতে বৈঠক বসে এবং ১মাসের মধ্যে টাকা দিয়ে দেবে বলে মৌখিক সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মোঃ মুমিনুল ইসলাম ছৈয়দ আহমদ থেকে ৬২ হাজার টাকা দাবি করে। অতিরিক্ত টাকা দাবি করায় বিষয়টি সমাধানের জন্য ছৈয়দ আহমদ (৬০) ১৪ ফেব্রুয়ারী লামা পৌরসভায় বিচার দেয়। বিচার পুণরায় সমাধানের জন্য লামা পৌরসভা মেয়র গ্রাম সর্দারকে দায়িত্ব দেয়।
পৌরসভায় বিচার দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী নেতার ছেলে মোঃ মুমিনুল ইসলাম ও তার বড় ভাই এখলাছুর রহমান দু’জনে মিলে যুবলীগ নেতা আমির হোসেনকে ৪মার্চ লামা হাইস্কুলের সামনে মারধর করে গুরুতর আহত করে। আহত আমির হোসেন বর্তমানে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুরুষ ওয়ার্ডে ২নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাথায় আঘাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
আহতের বাবা ছৈয়দ আহমদ জানান, আমার ছেলেকে মারধর করার পরেও তারা আমাদের মামলা না করার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। মামলা করলে আবারো হামলা করবে বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হোসেন বাদশা বলেন, বিষয়টি আমরা গ্রাম্য বিচারের মাধ্যমে সমাধান করে দিলেও বিবাদী মোঃ মুমিনুল ইসলাম মেনে নেয়নি। তাছাড়া মুমিনুল ইসলাম বদমেজাজি ও উশৃঙ্খল প্রকৃতির ছেলে।
লামা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার সহকারী মেডিকেল অফিসার রায়হান জান্নাত বিলকিছ সুলতানা বলেন, মাথায় আঘাতের কারণে কেটে গেলে ৩টি সেলাই করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা এখনো আশংকামুক্ত নয়।
You must be logged in to post a comment.