সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / লামায় সওজ বিভাগের স্ট্যাকইয়ার্ডের জায়গা বেদখলের অভিযোগ

লামায় সওজ বিভাগের স্ট্যাকইয়ার্ডের জায়গা বেদখলের অভিযোগ

‘ফেরত যাচ্ছে উন্নয়নের টাকা’

লামা (বান্দরবান) সওজ বিভাগ স্ট্যাকইয়ার্ড অফিস।

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :

বান্দরবানের লামার ‘সওজ বিভাগাধীন সড়ক উপ-বিভাগ-১’ এর আওতাধীন লাইনঝিরিস্থ স্ট্যাকইয়ার্ডের ১০.৮০ একর জায়গা হতে ইতিমধ্যে ২.৮০ একর সরকারী জমি বেদখলের অভিযোগ উঠেছে।

অপরদিকে সরকারী জমি বেদখল হয়ে যাওয়ায় এবং সীমানা জটিলতার কারণে স্ট্যাকইয়ার্ডের উন্নয়নে বরাদ্দকৃত প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ফেরত যেতে বসেছে বলে জানিয়েছেন, সওজ বিভাগ বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সজীব আহম্মেদ।

লামা (বান্দরবান) সওজ বিভাগের জায়গার নির্মিত দোকানপাট।

জানা গেছে, বান্দরবান সড়ক বিভাগের প্রায় ২১০.৪৪ কি:মি: সড়ক মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য লাইনঝিরি স্ট্যাক ইয়ার্ডটি সংরক্ষিত রয়েছে। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি সড়ক প্রকল্পের ক্যাম্পের জন্য জমি হুকুম দখল মামলা নং- ৭-৩/৮৫ মূলে লামা উপজেলার ২৯৩ নং ছাগল খাইয়া মৌজার লাইনঝিরি হতে ১০.৮০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীতে রাস্তা সহ উক্ত স্ট্যাক ইয়ার্ডটি বান্দরবান সওজ বিভাগাধীন সড়ক উপ-বিভাগ-১ এর কাছে হস্তান্তর করে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্ট্যাকইয়ার্ডটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সীমানা প্রাচীর না থাকায় আশপাশের অনেক লোকজন কিছু জায়গা দখল করে নেয়। বেদখল হয়ে যাওয়া ২.৮০ একর জায়গা পার্শ্ববর্তী জনৈক মো. হানিফ মাইজভান্ডারী, নাজিম মোল্লা, জাফর উল্লাহ, লাইনঝিরি মসজিদ, অলি উল্লাহ, সোহরাব হোসেন, মালু সওদাগর, সিরাজ মুন্সি, পেশকার মাঝি ও মো. ইউছুপ এর দখলে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা দখলকারীদের হাত থেকে সরকারী জায়গা উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্টদের সহায়তা কামনা করেন।

নাম প্রকাশ না করা সত্তে¡ কয়েকজন দখলদার বলেন, সরকারী সার্ভেয়ার বা কানুনগো দ্বারা সীমানা চিহ্নিত করার পর সওজ বিভাগের জায়গা আমাদের দখলে থাকলে তা ছেড়ে দেব।

সওজ সূত্রে জানা যায়, উক্ত স্ট্যাকইয়ার্ডটির রক্ষণাবেক্ষণে কোটি টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও দ্বিতল বিশিষ্ট একটি অফিসকাম রেষ্ট হাউজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সওজ বিভাগের। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উন্নয়ন কাজের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করে সওজ বিভাগ। ইতিমধ্যে সীমানা প্রাচীরের ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকী অংশে ভূমি বিরোধ থাকায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিষয়টি সমাধান ও সীমানা চিহ্নিত করণের জন্য স্মারক নং- ৪১৯/৩ তারিখ- ১৬ মে ২০১৭ইং মূলে তৎকালীন সওজ বিভাগের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম খান লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একজন সার্ভেয়ার নিয়োগের জন্য আবেদন করে। ভূমি জটিলতার কারণে বর্তমানে উন্নয়ন কাজ বন্ধ রয়েছে।

সওজ লামা অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুর ইসলাম বলেন, ভূমি বিরোধটি দ্রæত সমাধান করা গেলে স্ট্যাক ইয়ার্ডের উন্নয়নে আরো কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যাবে এবং এতে করে বান্দরবান সড়ক বিভাগের প্রায় ২১০.৪৪ কি:মি: সড়ক মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নমূলক কাজ করা সহজতর হবে।

সওজ বিভাগ বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সজীব আহম্মেদ বলেন, ভূমি বিরোধের কারণে উন্নয়ন কাজের ত্বরান্নিত করা সম্ভব হচ্ছেনা। লামা, আলীকদম ও থানচি উপজেলার সড়ক উন্নয়নে এই স্ট্যাকইয়ার্ডটি প্রয়োজন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিস ও ভূমি অফিসের সহায়তা কামনা করেন।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু বলেন, বিগত দিনে একজন সার্ভেয়ার নিয়োগ করা হয়েছিল। সার্ভেয়ারের বদলীজনিত কারণে ভূমি সমস্যাটি শেষ করা যায়নি। সওজ বিভাগকে সাথে নিয়ে দ্রুত ভূমি বিরোধ নিরসনে কাজ করা হবে।

 

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/