ইফসান খান, নাইক্ষ্যংছড়ি:
দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়কের নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল গেইটে ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনে জোর করে অতিরিক্ত টেক্স আদায়ের প্রতিবাদে ব্যারিকেট ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ব্যবসায়ীরা।
১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টিতে ভিজে এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শতশত ব্যবসায়ী অংশ নেন। একই বিষয়ের প্রতিবাদে এ সড়কের পূর্বাংশের গর্জনিয়া বাজার ও নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারে বিক্রি করতে আসা শতশত বিক্রেতাদের কাছ থেকে মালামাল ক্রয় করাও বর্জন করেছে তারা। ফলে ঈদের এ পিক-আওয়ারে সাপ্তাহিক হাটের দিন মালামাল বিক্রেতারা মাল বিক্রি করতে না পারায় সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘ কয়েক শতাব্দিকাল ধরে রামু-কক্সবাজার-ঈদগাঁও-সাতকানিয়াসহ কয়েকটি এলাকার ব্যবসায়ীরা গর্জনিয়া বাজার ও নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারে ব্যবসা করে আসছে।
এ ব্যবসা পরিচালনাকালে তারা নিয়মাতান্ত্রিকভাবে সরকারী যাবতীয় টেক্স আদায় করেও আসছিল। এ দীর্ঘ সময় ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সর্ম্পকও ছিল। এরই মধ্যে গত কয়েকমাস আগে বান্দরবান জেলা পরিষদের কাছ থেকে হাসপাতাল গেইটটি ডাক নেয় জনৈক ইজরাদার আবু তাহের নামের এক ব্যক্তি। সবজি ব্যবসায়ী মো: হাশেম, কলা ব্যবসায়ী মো: বেলাল, নূরুল কাদের, লেবু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক, তরকারী ব্যবসায়ী দেলওয়ার সহ অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ইজারাদার আবু তাহের কয়েকজন বখাটেকে ভাড়া করে টেক্সের জন্যে নিয়মিত ব্যবসায়ীদের মারধর করাসহ হুমকি দিয়ে আসছে। আর তাদের দিয়েই মালামালের বিপরীতে টেক্স আদায় করছে দ্বি-গুণ, তিন গুণের বেশী।
তারা আরো জানান, ইজারাদার প্রতি জাম্বুরা থেকে ১ টাকার পরিবর্তে ৪ টাকা করে টেক্স নেয়। এভাবে এক বস্তা জাম্বুরা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত টেক্স নেয় এ ইজারাদার। এভাবে লেবুর বস্তা থেকে ৪০ টাকা, প্রতিটি কলার ছড়া থেকে ৪ টাকা। প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া থেকে টেক্স আদায় করা হয় ১০ টাকা করে।
ব্যবসায়ীদের আরো অভিযোগ এভাবে অতিরিক্ত টেক্স আদায় বিষয় নিয়ে কেই প্রতিবাদ করলে ইজারাদার তার লালিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে মারধর করে ব্যবসায়ীদের। আর এ কারনে, তারা বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার রামু- নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের মহিশকূম এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে। আর ব্যারিকেট দিয়ে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। সারাদিন এভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের পর সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি অভিযো দায়েরও করে তারা। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে ইজারাদার আবু তাহের সাংবাদিকদের জানান, তিনি জেলা পরিষদ নির্ধারিত টেক্স ছাড়া অন্য কোনভাবে টেক্স আদায় করি না।
ব্যবসায়ীরা যা বলছে, তা সঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার যা বলবেন তিনি তা-ই করবেন।
You must be logged in to post a comment.