নিজস্ব প্রতিনিধি :
আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। যা মে দিবস নামে অভিহিত। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদ্যাপন দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠনসমূহ রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন। আরো অনেক দেশে এটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমিক শ্রেণির এক অনন্য দিন। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো বাংলাদেশেও আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক নীতি আদর্শ বজায় রেখে কলকারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকে এই দিনটিকে ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়ে থাকেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন দিনটি পালন করতে শোভাযাত্রা, শ্রমিক সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে থাকে। মে দিবসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক ফেডারেশন সহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করে। প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে মে দিবস উদ্যাপন করা হয়।
দীর্ঘ বঞ্চনা আর শোষণ থেকে মুক্তি পেতে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘণ্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল। তাদেরকে ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাতনামার বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। ওই সময় প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয়। তাদের ওই আত্মদানের মধ্য দিয়ে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়াকে প্রতি বছর এই দিনে সারা বিশ্বে স্মরণ করা হয়।
You must be logged in to post a comment.