অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:
৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস হলেও কক্সবাজারের টেকনাফে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে সাত’শ শিক্ষার্থী কাছে এখনো পৌঁছেনি ৯টি বিষয়ের বই। সারাদেশে একযোগে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৯ নভেম্বর থেকে। কিন্তু শিক্ষাবর্ষের শুরুর আট মাস পেরিয়ে গেলেও এ উপজেলার প্রায় বিদ্যালয়গুলোতে এখনো বই না পৌঁছায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, বই না পাওয়ার বিষয়টি জানেন না তিনি।
বছরের শুরুতে দাবি করা হয়েছিল কক্সবাজারের শতভাগ শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছেছে পাঠ্যবই। অথচ ৮ মাস পেরিয়ে নবম মাসেও জেলার টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, শাহপরীর দ্বীপ হাজি বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় ও নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাড়ে সাত’শ শিক্ষার্থী হাতে পৌঁছায়নি ৯টি পাঠ্যবই। তাই বই না পেয়ে পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা।
এখনো পাঠ্যবই না পৌঁছায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
অন্যদিকে শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা।
টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সিনিয়র শিক্ষক তপন পাল বলেন, ‘ছাত্ররা বিভিন্ন সময় ভর্তি হওয়ার কারণে বই কম পরে গেছে।’ আর হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম বলেন, ‘আমাদের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা যদি বই সঠিক সময়ে না পায়, তাহলে আমরা শিক্ষার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে পড়বো।’
এদিকে বই না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানালেন, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কেন বই পায়নি। এখানে কার গাফিলতি ছিল। অবশ্যই বিষয়টি ভেবে দেখার বিষয়। দীর্ঘ আট মাসেও যদি বই না পায় তাহলে আর কবে বই পাবে।’
জেলার টেকনাফ উপজেলায় ২৭টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।
You must log in to post a comment.