
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আলীকদমে গরু চুরির ঘটনায় গরুর মালিক মোঃ ইউনূস বাদী হয়ে আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এই ঘটনায় চুুরির সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় লামা পৌর যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সাইদুর রহমান সাঈদসহ আটজনের বিরুদ্ধে এ মামলা রুজু হয়।
৩১ মে (বুধবার) বিকালে চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সোনাইছড়ির বাসিন্দা মোঃ ইউনূস বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পুলিশ বলছে গরু চুরির সঙ্গে জড়িত ছয় জনকে তারা আটক করেছেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন, লামা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক পৌর যুবলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান সাঈদ, লামা পৌর কাউন্সিলরের ছেলে ও রাজবাড়ীর বাসিন্দা মোঃ রাসেল, চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ নুরুল হোসাইনের ছেলে মোঃ বাদশা, মোঃ শহিদুল্লাহর ছেলে অমিত হাসান, ছাহেল আহমদের ছেলে মোঃ আব্দুল শফি, বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ মিজান, লামা পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা ড্রাইভার মোহাম্মদ সোহরাবের ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম প্রকাশ আতিক ও রেপারপাড়ার বাসিন্দা নুর হোসেন।
চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সোনাইছড়ির গরুর মালিক মোঃ ইউনূস জানায়, গত ২৯ মে রাতে ইউনূস মিয়া ও খাইরুল বশরের খামারবাড়ী থেকে গৃহপালিত ৪টি গরু চুরি করে চোর সিন্ডিকেট। বিষয়টি মঙ্গলবার থানায় মোঃ ইউনূস মৌখিক অভিযোগ করলে ওসির নির্দেশনায় বুধবার ভোরে এসআই মোঃ রেজোয়ানুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গরু চুরির ঘটনায় জড়িত লামা পৌরসভার রাজবাড়ি এলাকার মোঃ রাসেলকে আটক করে। পরে রাসেলের তথ্যের ভিত্তিতে বাকি ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গরু চুরির ঘটনায় জড়িত লামা পৌর যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সাইদুর রহমান সাঈদ ও নুর হোসেন পলাতক আছেন। আটককৃতদের কাছ থেকে নগদ ৮৯ হাজার টাকা ও ৪টি গরু উদ্ধার করে পুলিশ।
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন সরকার সাংবাদিকদের জানান, লামা থানার সহায়তায় গরু চুরিতে জড়িত থাকার মামলায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকে অভিযান চলমান আছে।
You must log in to post a comment.