এম.আর মাহবুব, কক্সভিউ:
২০১৬ সালের মার্চের মধ্য গগন থেকে শুরু হচ্ছে সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিয়েছেন। ইসির এই ঘোষণায় সারাদেশের সাথে সংগতি রেখে নড়েচড়ে বসেছেন কক্সবাজারের মর্যাদাকর ইউনিয়ন খ্যাত ঝিলংজার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ। ভোটের আরও মাস পাঁচেক থাকলেও বসে নেই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ।
প্রচারণার অংশ হিসেবে বিশেষ দিনে বিশেষ শ্লোক সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে জানিয়ে দিচ্ছেন আমিও হতে চাই ঝিলংজার চেয়ারম্যান। আবার অনেকেই ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে নিজেকে জাহির করার আগাম প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। বিশেষ করে ঝিলংজার নয়টি ওয়ার্ডে কেউ না কেউ মারা গেলে খান্দানী পায়জামা পাঞ্জাবী পরে জানাযায় শরীক হতে প্রার্থীদের বিশেষ তত্পরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এদিকে ঝিলংজার বিশাল অংশ কক্সবাজার পৌরসভায় ঢুকে পড়লে জনসংখ্যা, আয়তন, গুরুত্ব বিবেচনায় এখনো ঝিলংজা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কাছে ভিআইপি ইউনিয়ন। সংগত কারণে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝিলংজার চেয়ারম্যান পদটি নিজেদের করতে মরিয়া ক্ষমতাসীন আ’লীগ, রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ও কক্সবাজারের রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
ইতোমধ্যে তিন বড় দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা আগাম প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। এতে করে বড় দলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে অবিশ্বাস, দলাদলি ও আগাম বিদ্বেষ শুরু হয়ে গেছে। যা আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। বড় দলের প্রার্থীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।
এলাকা ভিত্তিতে প্রার্থীদের পক্ষে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়তে পারে নিজ দলের নেতা কর্মীরা। ঝিলংজার ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঝিলংজার ইউপি নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পেতে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের তিন জন প্রার্থী সক্রিয় রয়েছেন। এরা হলেন-জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার, তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা ও গেলবার অল্প ভোটে হেরে যাওয়া টিপু সুলতান, কক্সবাজারের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের খেতাব প্রাপ্ত, বীর প্রতীক নুরুল হকের সন্তান ও শ্রমিক লীগ নেতা খোরশেদ আলম।
অন্যদিকে বিএনপি’র হয়ে রানিং চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জিকু আবার প্রতিদ্ব›িদ্বতায় মাঠে নামতে পারেন। তবে জেলা যুবদল নেতা আমীর আলী, বিএনপি নেতা মুজিবুল হক মিয়াজি, তাঁতী দল নেতা ইমাম খালেদ স্বপন ও বিএনপি নেতা মোস্তফা কামাল ও বিএনপির সমর্থন পেতে উন্মুখ হয়ে রয়েছেন।
এছাড়া কক্সবাজারের রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামী সবার আগে একক প্রার্থী চ‚ড়ান্ত করে রেখেছেন। জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এবারই প্রথম ভোট যুদ্ধে দেখা যেতে পারে। তিনি প্রার্থী নাহলে তরুণ আইনজীবী তাহের সিকদার, মরহুম সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা মোকতারের পুত্র তারেক বিন মোকতার, আরেক সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল গফুরের পুত্র অধ্যক্ষ আবুল কাশেম ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সাবেক শিবির নেতা আয়াত উল্লাহর মধ্যে যে কোন একজন জামায়াতের টিকেট পেলেও পেতে পারেন। তবে ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠক জামায়াতে ইসলামী আসন্ন ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গেলবারের মতো দ্বি-ধারা, ত্রি-ধারায় বিভক্ত হলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
You must be logged in to post a comment.