দীপক শর্মা দীপু, কক্সভিউ:
ইনানী বীচের বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। প্রায় ৩০ হাত পর-পর আবর্জনর স্তুপ দেখে মনে হয়েছে ইনানী বীচের পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে গেছে। ইনানী বীচ পরিস্কার করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থা হলে তো অপরিচ্ছন্ন এ বীচে কোনো পর্যটক আসবে না। এমন ভাবতে ভাবতে দেখা গেলো এক কিশোর ভ্যান নিয়ে আসে। স্তুপ করে রাখা ময়লা-আবর্জনা ভ্যানে তুলছে।
জানা যায় এসব ময়লা-আবর্জনা কুড়িয়ে স্তুপ করে রাখে ছেলেটি। পরে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। প্রতিদিন ছেলেটি এভাবে ইনানী বীচ পরিস্কার করার কাজটি করে। দেখলে মনে হয় বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি বা অন্য কোনো সংস্থা তাকে এ কাজটি করার জন্য নিয়োগ দিয়েছে। আসলে তা নয়, ছেলেটি নিজেই বীচটি পরিস্কার করে। এজন্য তাকে কেউ বেতন দেয় না। কথাগুলো বললেন বীচ কর্মী মোঃ হোসেন। ছেলেটির নাম মোঃ জাবেদ। সে ইনানীর খাল পাড়ায় থাকে। ভ্রাম্যমাণ হকার জাভেদকে এলাকার সবাই পছন্দ করে।
স্বেচ্ছায় সৈকত পরিস্কার করার বিষয়ে জানতে চাইলে জাভেদ জানান, শিশুকাল থেকে ইনানী বীচে খেলাধুলা করে তার শৈশব কাটে। তখন এ বীচে কোনো ময়লা আবর্জনা ছিল না। তখনের পরিবেশ ছিল পরিচ্ছন্ন। এখন সেই পরিচ্ছন্ন পরিবেশ না দেখে খুব খারাপ লাগে। তাই নিজ তাগিদে প্রতিদিন ইনানী সৈকত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ করি। সৈকতে ভ্রমণকারীরা মূলত আবর্জনা ফেলে সৈকত নষ্ট করে।
সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশ সমুন্নত রাখতে জাভেদ প্রতিদিন স্বেচ্ছায় নিজেকে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ করবেন বলে জানান। আর তার এ মহানুভবতার কারণে ইনানীর পরিবেশ সুরক্ষা হচ্ছে। আর পর্যটকরা পরিচ্ছন্ন বীচে ঘোরানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
You must be logged in to post a comment.