অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে এক প্রজ্ঞাপন জারী করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেন, সরকারের বেধে দেয়া সময় এর আগে ১১ দিন ছিলো। এবার সময় আরো চার দিন বাড়ানো হয়েছে।
সরকারের নির্ধারিত ওই সময়ে ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ এবং মজুদও নিষিদ্ধ করে।
এ আদেশ অমান্য করলে তা দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে অভিযুক্তদের এক মাস থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত এবং এক হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
এদিকে জেলা ফিশিং বোট শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম মৎস্য শ্রমিকদের সরকারের তরফ থেকে পূণর্বাসন করার দাবী জানিয়ে বলেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ কালীনসময়ে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অনাহারে থাকতে হয়। তাই দেশের অন্যান্য মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র এলাকার ন্যায় কক্সবাজারের জেলে ভাইদেরকেও সরকারীভাবে সহায়তা প্রদান করার বিষয়ে একটু সুদৃষ্টি দিলে আমরা উপকৃত হবো। পুনর্বানের দাবীতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদনও করেছেন বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলা লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আসাদুল হকও একই কথা বলেন, কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আমার সমিতির প্রায় ৩০০ শ্রমিক প্রতিদিন বোট হতে মাছ উঠা-নামা করে সংসার চালায়। ১৫দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে, আমাদের শ্রমিকদের সম্পূর্ণ বেকার থাকতে হবে। আমার শ্রমিকরা অন্য কোন পেশায় যেতে না পারার কারণে অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হবে। বিধায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো যেন আমাদেরকে পূণর্বাসনের আওতায় আনা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হারুন জানান, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালীন সময় সরকার বেকার জেলে ও মৎস্য শ্রমিকদের প্রনোদনা স্বরূপ বিজিএফ’র মাধ্যমে চাউল প্রদানের ব্যবস্থা হচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.