এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
গেল বন্যার পানিতে ঈদগাঁও বাঁশঘাটা যোগা যোগের একমাত্র কাঠের সাঁকোটি ঢলের পানিতে তলিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিশাল এলাকার অসহায় নারী-পুরুষ ছাড়াও পোকখালীর প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষজন প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে নানা কাজেকর্মে নৌকা দিয়ে চলাচল করে যাচ্ছে। ভাঙ্গন মেরামত হলেও চালু হয়নি সড়ক। ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চলাচল করছে মানুষজন। এমনকি অনেক লোকজন প্রয়োজনীয় কাজেকর্মে জেলা সদরের ঈদগাঁও বাজারের আসছে বহু কষ্টের বিনিময়ে।
এছাড়াও ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর, ইউছুপেরখীল, বাঁশঘাটা, পাঁহাশিয়াখালী সহ নানা গ্রামগঞ্জের নর নারীরা অতি কষ্টের বিনিময়ে চলাফেরা করছে। পাশাপাশি পাশ্বর্বতী শিক্ষা প্রতিষ্টান ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থীরা ভয় আর আতংক মাথায় নৌকা দিয়ে পারাপার হয়ে শিক্ষাঙ্গনে আসছে। নৌকা দিয়ে ঈদগাঁও নদী পারাপার হতে গিয়ে অনেক সময় নৌকা উল্টে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে কর্মমুখী লোকজন নদীর উপর ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে।
এদিকে গেল বন্যার পানিতে কাঠের সাঁকো তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাঁশঘাটার একপাশে নদীর পার ভেঙ্গে হরিপুর, ইউছুপেরখীরসহ স্থানীয় বাড়ীঘর প্লাবিত হয়ে পড়েছিল। এমনকি জন ও যানবাহন যোগাযোগ দুয়েকদিন বন্ধ ছিল। পোকখালী ও ইসলামাবাদের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষজন চলাফেরায় সীমাহীন কষ্ট পেয়েছিল।
বিগত ১৫ জুন থেকে বাঁশঘাটার ভাঙ্গনকৃত পয়েন্টের কাজ শুরু হয়। এটি বর্তমানে মেরামত হয়েছে। তবে এখনো চালু হয়নি সড়ক যোগাযোগ। ২৫ জুন বিকেলে বাঁশঘাটা এলাকার ভাঙ্গা পরির্দশনে গেলে নদীর পাড়ে বালির বস্তা দিয়ে কোন রকম জন ও যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে চোখে পড়ে। তবে অল্পসময়ের মধ্য কাজ সারতে নৌকা দিয়ে লোকজনকে পারাপার করতেও দেখা যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার আবু বক্কর ছিদ্দিক বান্ডি আজকের কক্সবাজারকে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের একান্ত সহযোগিতায় ভাঙ্গন পয়েন্টে বালির বস্তার সাহায্য মেরামত চলছে। যাতে করে, শিক্ষা প্রতিষ্টান, বিশাল এলাকাবাসী পানির কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। তিনি আরো জানান, কোন সরকারী বা বেসরকারী সংস্থা যদি ঈদগাঁও বাঁশঘাটা পয়েন্টে যদি পূর্বের ন্যায় একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে, তাহলে এলাকার হাজার হাজার মানুষজন প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ আর দূর্গতি থেকে মুক্তি পেত।
স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, ঈদগাঁও নদীর উপর সাঁকো নির্মাণ করে লোক জন চলাচলের সূর্বণ সুযোগ সৃষ্টি করা হোক।
অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
You must be logged in to post a comment.