এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও
কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। চুরি-মাদক ব্যবসাসহ হরেক রকম অপরাধ-অপকর্মের নিরাপদ আস্তানা গড়ে উঠেছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। প্রায়শঃ এখানকার কোন না কোন স্থানে সংঘটিত হচ্ছে নানা অপরাধ। আর এতে বিঘ্নিত হচ্ছে জনগণের যান মালের নিরাপত্তা।
৯ সেপ্টেম্বর ঈদগাঁও ইউনিয়নের মাইজ পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেয় সংঘবদ্ধ চোরের দল। এ সময় মোবাইল সেট ও নগদ টাকা চুরি হয়। একই দিন জালালাবাদের ইদ্রিচপুরের জুনাইদের বাড়িতেও সংঘটিত হয় চুরি। অন্যদিকে একই দিন মাইজ পাড়া আজিজিয়ার নুরুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ শফির রুমেও চুরি হয় বলে জানা গেছে।
১০ সেপ্টেম্বর রাতে ঈদগাঁও ফরিদ আহমদ কলেজ গেইট এলাকার নুর শরিফের কুলিং কর্ণারে দোকানের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ক্যাশ বক্স ভেঙ্গে নগদ টাকা, মোবাইল সেট ও মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। একই রাতে ঈদগাঁও উত্তর মাইজ পাড়ার নুরুল ইসলামের গোয়ার ঘর থেকে গরু চুরি করার সময় দুই চোরকে হাতে নাতে আটক করে স্থানীয় জনগণ।
১১ সেপ্টেম্বর রাতে জালালাবাদ পূর্ব ফরাজী পাড়ার এক বাড়িতে সিঁদ দিয়ে চোর ঢুকার সময় গৃহকত্রী টের পেয়ে চিত্কার দিলে পালিয়ে যায় চোরেরা।
১২ সেপ্টেম্বর রাতে মাইজ পাড়ার শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল চুরি হয়। পরক্ষণে আবার পেয়ে যায়।
১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঈদগাঁও মেহেরঘোনা এলাকার এক বাসায় হানা দেয় সংঘবদ্ধ চোর দল।
১৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ইউছুপের খিল গ্রামে কয়েকটি বসতবাড়ীতে হানা দিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। এছাড়াও পোকখালী, ইসলামপুর, চৌফলদন্ডী, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নসহ বৃহত্তর ঈদগাঁওতে প্রতিদিনই কোন না কোন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র ও মাদক সেবীরা এসব চুরি ডাকাতি নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে। কিছুদিন পূর্বে পোকখালী সিকদার পাড়ার এক ব্যক্তির গোয়াল ঘর থেকে এক রাতেই ছয়টি গরু চুরি হয়ে যায়।
এসব চৌর্যবৃত্তির বিরুদ্ধে ঈদগাঁও উত্তর মাইজ পাড়া এলাকার ইয়াং ভয়েজার্স নামের একটি সংগঠন সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এক সভা ও করেছে। ওইসভায় তারা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে এলাকাবাসীর মতে, বিশাল উপরোক্ত এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভূমিকা প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকার আইন শৃঙ্খলা শক্ত হাতে রক্ষা করার জোর দাবী জানান তারা। আইন শৃঙ্খলা ঢিলেমির কারণে একের পর এক চৌর্যবৃত্তি বাড়ছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের মতে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বদা তত্পর রয়েছে। বৃহত্তর ঈদগাঁওকে অপরাধ মুক্ত করতে জেলা পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার লোকজন।
You must log in to post a comment.