এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আর পরপর পাঁচ দফা বন্যার পরেও কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও আর রামু উপজেলার ঈদগড়ে আখ চাষে বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। আখ চাষে অধিক লাভবান হওয়ার কারণেই এ অঞ্চলের চাষীরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। সরকারী ভাবে এখানকার চাষীদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগীতা প্রদান এবং চিনি-গুড় উত্পাদন এমন জাতের বীজ সরবরাহ করা গেলে এ অঞ্চলে চিনি শিল্পও গড়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার বেকার নারী পুরুষের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। ঈদগাঁও নদী বেষ্টিত ঈদগাঁও-ঈদগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ছড়ার দু’কূলে সারি সারি আখ ক্ষেত। বিশেষ করে ঈদগাঁওর পালপাড়া, চৌধুরী পাড়া, কুলাল পাড়া, ইসলামাবাদের গজালীয়া, রাজঘাট, ওয়াহেদর পাড়া, জালালাবাদের চর পাড়া, রাবার ড্যাম এলাকার শত শত চাষী চর জমিতে বিভিন্ন জাতের আখ চাষ করছেন। চাষীরা সাথী ফসলের সাথে চারা রোপন করে বড় হওয়ার সাথে সাথে মৌসুমী সবজি ফলন তুলে নেন। পরে শুরু করেন আখ ক্ষেতের পরিচর্যা।
গজালিয়ার এক কৃষক কানি জমিতে দেশি জাতের আখ চাষ করেছেন। তার মতে এবার বন্যায় ও মোটামুটি ফলন দেখা দিয়েছে। এদিকে ঈদগাঁওতে চাষীরা পাহাড়ী ও দেশী জাতের খাওয়ার আখ রোপন করেছেন বলে জানা যায়। তারা এ এলাকায় উন্নত জাতের চিনি ও গুড় তৈরীর বীজ সরবরাহ করার দাবী জানান।
সম্প্রতি দেখা যায়, গত দুয়েক দিনে প্রচন্ড গরম পড়ার সাথে সাথে ক্ষেত থেকে আখ কেটে এনে কৃষকরা মালিকদের কাছ থেকে নগদ টাকার বিনিময়ে কিনে এনে বাজারে বিক্রি করতে দেখা যায়।
এদিকে ঈদগাঁও বাজারের যত্রতত্র স্থানে গরম মৌসুমকে সামনে রেখে আঁখের বিকিকিনি ফের বৃদ্ধি পেয়েছে।
You must be logged in to post a comment.