এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্ উত্সব আসন্ন শারদীয় দূর্গোত্সবকে ঘিরে প্রতীমা তৈরীতে ব্যস্ততামুখর হয়ে পড়েছে মৃত্ শিল্পীরা। এ নিয়ে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ব্যাপক উত্সাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন স্থানে প্রতীমা তৈরীতে শিল্পীরা মহা ব্যস্ত সময় পার করছে। তন্মধ্যে ঈদগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া বিষ্ণু মন্দির, পাল পাড়া প্রগতি সংঘ, দক্ষিণ পালপাড়া কালিবাড়ী, হাসিনা পাড়া মন্দির, ঈদগাঁও বাজার কেন্দ্রীয় কালি মন্দির, জালালাবাদের জলদাস পাড়া ও ছাতিপাড়া মন্দির এবং ইসলামাবাদের হরিপুরে ৩টি আর হিন্দু পাড়ায় প্রতীমা তৈরীতে ব্যস্ত রয়েছে মৃত্ শিল্পীরা। এদিকে শারদীয় দূর্গোত্সবে মন্দিরে মন্দিরে বাজবে ঢোল, কাসর আর শঙ্খধ্বনি। উচ্চারিত হবে চন্ডি পাঠ। পূজার আমেজ ছুঁয়ে যাবে সব বয়সী সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনের হৃদয়ে। এ উত্সবকে ঘিরে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ঝাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অনাবিল বাঁধভাঙ্গা আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠবে বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের সনাতন সম্প্রদায়ের সব বয়সী লোকজন। ঘরে ঘরে চলে পূজা উদযাপনের নানা প্রস্তুতি।
এদিকে মহাব্যস্ত সময় পার করছে প্রতীমা তৈরীর কাজে শিল্পীরা। কাঁদা মাটির কাজ শেষ করে প্রতীমা রং, পোষাক তৈরী ও মন্ডপ সাজানোর কাজ করবে তারা। শিল্পীর নিপূণ হাতের ছোঁয়ায় দেবী দূর্গার আগমনী সূর বেজে উঠছে।
উল্লেখ্য যে, আগামী ১২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হবে দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। তার পরপরই ১৯ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর বোধনের মাধ্যমে শুরু দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা। শেষ হবে ২৩ অক্টোবর। ঐদিন প্রতীমা বিসর্জনের মাধ্যমে দেবীদূর্গাকে চোখের জলে বিদায় জানাবেন ভক্তরা।
You must be logged in to post a comment.