এম.আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে গহীন জঙ্গলে একটি ডাকাতের আস্তানায় হানা দিয়ে ডাকাত নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা ও আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতি, অস্ত্র মামলা সহ তিন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৯ মে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দেবাশীষ সরকার বাদী হয়ে কক্সবাজার মডেল থানায় এ মামলা গুলো দায়ের করেন। এ ঘটনায় নিহত লাল পুতুর লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপর দিকে আটক মোস্তাক আহমদ ওরফে (চিমবডি) পুলিশ প্রহরায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ অভিযানের সময় উত্তেজিত জনতা ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া মমতাজ আহমদের পুত্র আবছার প্রকাশ লাল পুতুকে গণধোলাই দিয়ে ঘটনাস্থলে সে নিহত হয়।
অপরদিকে চকরিয়ার খুটাখালীর গর্জনতলী এলাকার আমির হামজার পুত্র মোস্তাককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খাইরুজ্জামান তিনটি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য যে, ১৮ মে সন্ধ্যার পর থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত একটানা পুলিশ ও জনতার অভিযান চলে ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়ার প্রায় ছয় কিলোমিটার পূর্বে হল হাজীর ঘোনা নামক স্থানে। সেখানে পুলিশের অভিযানে দেশীয় তৈরি এলজি-২টি, ৫টি কার্তুজ উদ্ধারের পাশাপাশি ২জন ডাকাত আটক করলেও একজন জনতার গণপিটুনিতে নিহত হয়।
অভিযানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খাইরুজ্জামান সহ এসআই দেবাশীস সরকার, এএসআই পেয়ার উদ্দিন, আবুল কাশেম এবং সঙ্গীয় পুলিশ দল।
স্থানীয় মেম্বার মিনারের মতে, বৃহষ্পতিবার সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় এক রাখাল গহীন জঙ্গলে গরু খুঁজতে যায়। এসময় একটি পাহাড়ে ৫/৬ জনের একটি ডাকাতদল অবস্থান নিতে দেখে ভয়ে পালিয়ে আসে। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে মেম্বারের মুঠোফোনের নাম্বার নিয়ে বিষয়টি তাকে জানালে তাৎক্ষনিক ঈদগাঁও পুলিশকে খবর দেয়। ডাকাতদলের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আরো কয়েকটি জঙ্গল থেকে ১০/১২ জন ডাকাত একত্রিত হয়ে এলাকার লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশের জনবল কম থাকায় আস্তানাটি ঘেরাও করে রেখে স্থানীয় প্রত্যেক মসজিদের মাইকে প্রচার করে এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে পুলিশের সাথে অভিযানে অংশ নিয়েছে।
এদিকে নানা সময়ে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক, কালিরছড়ার পাহাড়ী জঙ্গল সহ নানা চিহিনত এলাকায় চলাচলরত লোকজনকে অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যেত অপহরণকারী চক্ররা। পরে মোটা অংকের মুক্তিপণ নিয়ে পাহাড় থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হত।
You must be logged in to post a comment.