এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁওর বাসষ্টেশনসহ বৃহৎ এলাকার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের সড়ক উপসড়ক জুড়েই তিন চাকার যানবাহন এখন তরুণ প্রজন্ম কিংবা কিশোরের হাতে। এসব যানবাহনের যাত্রীরা চরম আতংক নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় কাজেকর্মে আসা যাওয়া করে। অদক্ষ, আনাড়ী ও অল্প বয়সী চালকদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন যাত্রীসহ সাধারণ লোকজন। এসব চালকদের বেপরোয়া যান চলাচলের কারনে যেকোন মুহুর্তে অপ্রীতিকর দুর্ঘটনার আশংকাও প্রকাশ করেন সচেতন মহল।
একদিকে এসব ব্যাটারী চালিত তিন চাকার গাড়ীর কারণে এলাকায় বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে যত্রতত্র স্থানে বাড়ছে অযথা যানজট। দেখা যায়, মহাসড়কে দূরপাল্লার বড় বড় গাড়ীর সাথে পাল্লা দিয়ে যন্ত্রচালিত তিন চাকার যানবাহন চলছে সমান তালে। হাইওয়ে পুলিশ কতৃক তিন চাকার যানবাহন মহাসড়কে না চালানোর জন্য মাইকিং করার পরেও তোয়াক্কা না করে দেদারছে চালাচ্ছে এসব পরিবহন।
একাধিক পথচারীর মতে, এ যানবাহনের কারনে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় বাজারে প্রবেশ করাতো দুরের কথা, হাঁটা চলাও দায় হয়ে পড়েছে। ঈদগাঁও বাজারসহ পাড়া মহল্লার সড়কগুলোতে তিন চাকার গাড়ী মাত্রা তিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তবে এসব যানবাহন নিয়ে কারো স্বস্তি আবার কারো অস্বস্তি প্রকাশ করতে শোনা যাচ্ছে।
২০ ফ্রেরুয়ারী সকাল ১০টার দিকে ঈদগাঁওর ভূতিয়াপাড়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঈদগাঁও বাসষ্টেশন এলাকায় আসার পথিমধ্যে ভূতিয়া পাড়া রাস্তার মাঝ অংশে টমটম উল্টে গাড়ীতে থাকা দুইজন যাত্রী আহত হন বলে প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের ২রা সেপ্টেম্বর থেকে ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ কল্পে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মাইকিং করা হয়েছিল।
You must be logged in to post a comment.