এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে দুই দিনের পৃথক পাঁচ স্থানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে চোর আটক হলেও চোর সিন্ডিকেট চক্র অধরা রয়েছে।
জানা যায়, ৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ঈদগাঁও ইউনিয়নের মধ্যম মাইজপাড়া এলাকার ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী-কক্সবাজার সড়কের ম্যাজিক গাড়ীর লাইনম্যান নুরুল ইসলামের বাড়ীতে চুরি করে দুটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। অপরদিকে ঈদগাঁও মাইজ পাড়া আজিজিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ শফির একটি মোবাইল সেট ও নগদ টাকা এবং ঐ মাদ্রাসার এক ছাত্রের নগদ টাকা নিয়ে যায় মাদ্রাসা থেকে। জালালাবাদ ইউনিয়নের ইদ্রিছপুর এলাকার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের লাগোয়া চায়ের দোকানের মালিক এহেছানের ভাইপো জুনাইদের একটি মোবাইল সেট ও নগদ টাকা চুরি করে চোরদল।
এছাড়াও ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক তিনটার দিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর মাইজ পাড়ার নুরুল ইসলামের একটি গরু বাড়ী থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে দুই চোরকে আটক করে গরুর মালিক। এসময় তাদের কাছ থেকে গরুটি নিয়ে নেয়। ধৃত চোরেরা হল স্থানীয় মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র এবাদত উল্লাহসহ তার নেতৃত্বে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ফকির পাড়ার জাহেদ নামের আরেক চোর।
স্থানীয়দের মতে, এ চোর সিন্ডিকেটের তৎপরতা বৃহত্তর এলাকাতে দীর্ঘদিন ধরে তৎপর ছিল। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুুরীর সাথে কথা হলে তিনি গরু চুরির অপরাধে দুই চোরকে হাতেনাতে ধরে পরবর্তীতে পুলিশে সোপর্দ করার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আবার একই দিন গভীর রাতে ঈদগাঁও কলেজ গেইট এলাকার নুর শরিফের কুলিং কর্নারে দুর্ধর্ষ চুরি করে নগদ টাকাসহ মালামাল নিয়ে যায় বলে এক সূত্রে প্রকাশ। অপরদিকে কয়েকদিন পূর্বে উত্তর মাইজ পাড়া এলাকার শহীদুল ইসলাম নামের এক যুবকের মোটর সাইকেলটি বাড়ী থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পরক্ষণে একটু অদূরে পেয়ে যায়। আসন্ন ঈদুল আযহা তথা কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বৃহত্তর এলাকাতে চোরদলের উৎপাত আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসী নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। একের পর এক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চরম আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবিলম্বে বিশাল এলাকায় চোর সিন্ডিকেটের তৎপরতা থেকে মুক্তি পেতে পুলিশী টহলের জোর দাবী জানান সচেতন মহল।
You must be logged in to post a comment.