পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার খ্যাত ঈদগাঁওতে মুষলধারে বৃষ্টিপাতে যত্রতত্র স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যাতে করে সাধারণ লোকজনের দুর্ভোগ আর দুর্গতি চরমে উঠেছে। জেলা সদরের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের প্রধান ডিসি সড়কসহ পার্শ্ববর্তী অপরাপর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অলিগলির নানা সড়ক-উপসড়কে বৃষ্টির পানি জমে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি অনেক অনেক নিচু জায়গায় পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বেড়েছে জনদূর্ভোগ।
এদিকে মুষলধারে বর্ষণে বাজারের প্রধান ডিসি সড়কের নানা খানা খন্দকে বৃষ্টির পানি জমে জন ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়ন ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডী, পোকখালী ও ঈদগাঁওর গ্রামগঞ্জের সড়কগুলোতে কর্দমাক্তে ছেয়ে গেছে। পাশাপাশি বৃহত্তর এলাকায় ছোট খাট খাল ও ছড়ায় পাহাড়ী পানির স্রোতে ঢল নেমেছে। বিশাল এলাকার সড়ক-উপসড়কের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের অভাবে সৃষ্টি হয়েছে ফের জলাবদ্ধতা। এসব দেখার কেউ না থাকায় এ দুর্ভোগ-দূর্গতিতে ভোগতে হচ্ছে এলাকার অসহায় লোকজনদের।
নিম্নমানের ড্রেন থেকেও না থাকার অবস্থায় এক প্রকার। বলতে গেলে টেকসই ও কার্যকরী ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার ফলে সুষ্ঠুভাবে পানি যাতায়াত করতে না পারায় ড্রেনের পানি ড্রেনেই থেকে যাচ্ছে। তার উপর ড্রেনের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা নির্মিত ড্রেনের উপর তাদের দোকানের ময়লা আবর্জনা ফেলে ওই ড্রেনটি আরো ভরপুর করে রাখে। অন্যদিকে কিছু কিছু সড়কে বৃষ্টির পানি রাস্তার কাদার সাথে মিশে জল-কাদায় ভরে গেছে। ফলে বিঘি্নত হয়েছে যানচলাচল ও জনজীবনের স্বাভাবিক গতি প্রবাহ। ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী-খুরুশকুল-কক্সবাজার যাতায়াত সড়কটিতে যত্রতত্র স্থানে খানা খন্দকে ভরপুর। যাতে করে যানবাহনের চালকরা যাত্রীবাহী যানবাহন চালাতে গিয়ে নানাভাবে বিপাকে পড়েছে। পাশাপাশি যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের টেকসই ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে পুরো বর্ষামৌসূমে ঐ সমস্ত সড়কের অবস্থা এরকম থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থার সুষ্ঠু তদারকির অভাবে ড্রেনগুলো বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া না হলে চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণে দূর্ভোগ আর দুর্গতির চরম পর্যায়ে পৌঁছতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন দূর-দুরান্ত থেকে বাজারে আসা গ্রামাঞ্চলের লোকজন। বেশ ক’জন সচেতন মহলের মতে, আর কতকাল বাজারের দুর্ভোগ আর দূর্গতির চিত্র দেখতে পাব?
You must be logged in to post a comment.