এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
বিগত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে বিপাকে পড়েন ঈদগাঁওর খেটে খাওয়া মানুষেরা। চরম বেকায়দায় পড়েছেন তারা। ৯ আগস্ট কক্সবাজারে ঈদগাঁওর বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় বেশিভাগ পানি নেমে যায়। কিছু কিছু স্থানে জ্বলাবদ্ধতা রয়েছে।
এতে করে সাধারণ দিনমজুররা পড়েন বিপাকে। বিশেষ করে গাড়ি চালকরা গ্যারেজ থেকে পানি জন্য গাড়ি রাস্তায় বের করতে না পারায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের। ভাড়ায় তিনচাকার যানবাহন চালকরা বেশ সমস্যায়। একদিন পরিবারের ভরন পোষনে টানাপোড়েন, অন্যদিকে যানবাহন ভাড়া পরিশোধ নিয়ে দ্বিমুখী সমস্যায় জর্জরিত এসব চালকরা। তাদের মুখে হাসির পরিবর্তে মলিনতা ভেসে উঠছে।
আবু তাহের ও নাছির নামের দু’জন তিনচাকার যানবাহন চালকরা জানালেন, এ ভারী বৃষ্টির মধ্যে তেমন যাত্রী পাওয়া যায়না। ফলে অনেক সময় ভাড়ার টাকা তোলা দায় হয়ে যায়।
এছাড়া অনেক কর্মজীবিরা নানামুখী সমস্যায় নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন। বলার ভাষাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে। যার দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল তারা সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় কথাও জানান।
কর্মজীবিরা টানা বৃষ্টিতে তারা দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহের কাজে তারা বের হতে পারছেনা। এছাড়া তাদের উপার্জনের বাহন অটোরিক্সা, সিনএনজি জলাবদ্ধতার কারনে বের করতে পারছেনা। যার ফলে পরিবার নিয়ে তারা আরো বিপদে পড়ে যাবে।
ঈদগাঁও বাজারে বিভিন্ন পয়েন্টে প্লাবিত হয়ে প্রায় বাজার এলাকায় ১০/১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো ব্যবসায়ীরা ঠিকমত তাদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খুলে বসতে পারেননি। গ্রামাঞ্চলের লোকজন বাজারমুখী হতে পারছেনা সৃষ্ট বন্যায় জবুথবু হওয়া ফলে। অতিবৃষ্টিতে গ্রামীন জনপদের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের কারনে লোকজন চলাচলে নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছেন।
অপরদিকে সবজি বিক্রেতারা দূরদুরান্ত থেকে নানা সবজি ক্রয় করে আনতে পারছেনা গেল বন্যায় সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এখনো জেলার বিভিন্ন স্থানে হাটু পরিমান পানিতে নিমজ্জিত।
You must be logged in to post a comment.