
এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের উজানের পানিতে প্লাবিত হয় ঈদগাঁওর বিস্তীর্ণ এলাকা। ব্যাহত রয়েছে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম। জনজীবনে চরম দূর্ভোগ।
প্রাপ্ত তথ্যে মতে, বেশ কয়েকদিন যাবত অব্যাহত রয়েছে ভারী বর্ষণ। সাথে ঈদগাঁও খাল থেকে নামছে পাহাড়ি ঢলের পানি। যা বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকে সাধারণ লোকজনের প্রাত্যহিক চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করে। উপজেলার ঈদগাঁও, জালালাবাদ ইসলামাবাদ, পোকখালি, ইসলামপুরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন অথৈ পানি আর পানি। গ্রামাঞ্চলে পানিবন্দী জীবনযাপন করছেন লোকজন। তবে ঈদগাঁও বাজার ও সংলগ্ন এলাকা পার্শ্ববর্তী খালের পানিতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
জাগির পাড়া, বৃহত্তর মাইজ পাড়া, সওদাগর পাড়া, ছাতি পাড়া, লরাবাগ, বাঁশঘাটা, ইউছুফেরখিল, পালা কাটা, দরগাহ পাড়াসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। জেলার প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় আঙ্গিনায় এখন হাঁটু পানি পানি। গত কয়েকদিন যাবত কর্তৃপক্ষ এই প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। প্রতিষ্ঠান প্রধান খুরশীদুল জন্নাত জানান, পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও খালের পানি ও এক টানা বর্ষণে বিদ্যালয় মাঠ পানিতে সয়লাভ হয়। একাডেমিক ভবনের নিচের তলায় পানি ঢুকে পড়ায় কার্যক্রম পরপর তিনদিন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
ঈদগাঁও খালে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় সহজেই খালের পানি বিদ্যালয় মাঠে প্রবেশ করেছে। গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক শাহ আলম জানান, তার প্রতিষ্ঠানেও দুইদিন যাবত শ্রেণি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারনে।
দেখা যায়, বৃষ্টিতে ঈদগাঁও বাজারে প্রধান সড়ক ডিসি রোডসহ অন্যান্য অলিগলি, জাগির পাড়া সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন এলাকার ভূক্তভোগীরা জানালেন, বৃষ্টিতে তাদের এলাকায় হাঁটুপানি জমেছে। এতে তাদের দৈনন্দিন জীবনে চরম দুর্দশা নেমে আসে। গৃহ স্থলী কাজকর্ম ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে বেশ দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
পাশাপাশি অতিবৃষ্টিতে বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে জালালা বাদ ও পোকখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড়েই পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে নর-নারীসহ শিশু ও কিশোরেরা। ঘরবন্দি লোকজনকে শুকনা খবার, খিচুড়ি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে পাশে রয়েছেন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ অপেক্ষাকৃত নিচুস্থানে হওয়ায় বৃষ্টি হলেই ডিসি রোড হয়ে পানি পরিষদ মাঠে ঢুকে পড়ে। এতে ইউপি পরিষদে দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পরিষদ কর্মচারী শামসুল আলম জানান, তিনি সারাদিন পরিষদে বারান্দা থেকে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করে চলছেন।
You must be logged in to post a comment.