এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড দুর্ঘটনা বাড়ছে। ৩২ কিলোমিটার দূরবর্তী জেলা শহর কিংবা চকরিয়া থেকে দমকল বাহিনী আসতে না আসতেই অগ্নিকান্ড কবলিত বসতবাড়ী পুড়ে ছারখার হয়ে পড়ে। তাই দ্রুততম সময়ে বৃহত্তর এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের জোর দাবী জানান। অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ কালো থাবায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে মাটি হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে পোকখালী, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, চৌফলদন্ডী ও ঈদগাঁও’র প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ীসহ অন্যন্য জিসিনপত্র অগ্নিকান্ডের থাবায় ধ্বংস হচ্ছে। দীর্ঘবছর ধরে একের পর এক আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে বৃহত্তর ঈদগাঁও’র তিন লক্ষাধিক জনগোষ্টীর একমাত্র দাবী একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জন্য। কিন্তু সে দাবী আজ অবধি পর্যন্ত সাংবাদিক ও লেখকদের লেখনিতে জাগ্রত রয়েছে। ঈদগাঁও’র কোন এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেই কক্সবাজার কিংবা চকরিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কখনো সম্বব নয়। ওইখান থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভানোর পূর্বেই সবকিছু পুড়েই ছারখার হয়ে যায়। এভাবে শত শত দরিদ্র পরিবার সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে।
জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা হিসাবে খ্যাত ঈদগাঁও বাজারে ব্যবসায়ীক লেনদেনসহ দোকান পাঠ এবং ঘর বাড়ী ও জনবসতি বেশী বলে জানা গেলেও অদ্যবধি এখনো পর্যন্ত একটি ফায়ার সার্ভিস স্থাপন করা হয়নি। এ নিয়ে জনমনে একের পর এক ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি ঈদগাঁওতে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন জরুরী বলে মনে করেছেন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা।
ঈদগাঁওতে সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিকান্ডের মত দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে। এই দুর্ঘটনা থেকে পরিত্রান পেতে অবিলম্বে ঈদগাঁও’তে একটি ফায়ার সার্ভিস জরুরী বলে মনে করেন তারা। ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের বিষয়টি যদি বিবেচনা করা হয়, তাহলে ঈদগাঁওবাসী আশার আলো খুঁজে পাবে।
উল্লেখ্য, ২ অক্টোবর দুপুরে ঈদগাঁও ইউনিয়নের মধ্যম চাঁন্দেরঘোনা এলাকার ফরিদুল আলম প্রকাশ ফরিজার বাড়ীতে রান্নাঘর থেকে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে বসতবাড়ীতে অগ্নিকান্ড ঘটে। অগ্নিকান্ড কবলিত বাড়ীর কাপড়-চোপড়, আসবাবপত্র সহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৫ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে স্থানীয় লোকজন সূত্রে প্রকাশ। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমইউপি সেলিম উল্লাহ সিরাজীর সাথে এ প্রতিনিধির কথা হলে তিনি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে ১ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম খোদাইবাড়ীতে ৩ বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। উক্ত অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন সূত্রে প্রকাশ। এটিও বাড়ীর গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা যায়।
You must be logged in to post a comment.