
এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিত হয়ে উঠেছে। চড়া দামে বিপাকে ক্রেতারা। সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় দিশেহারা গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষরা।
কেজি প্রতি ৫০ টাকার নিচে তরকারী মেলানো কঠিন হয়ে পড়েন। দৈনিক আয়ের নির্ভরশীল কর্মজীবিরা চরমভাবে বিপাকে পড়েন। পছন্দের সবজি মিললেও অগ্নিমূল্যের কারনে কিনতে পারছেননা। চড়া দামে বেসামাল সাধারণ মানুষ।
ঈদগাঁওর তরকারী বাজার ঘুরে দৈন্যদশা চোখে পড়ে। অতিরিক্ত দামের যাঁতাকলে বন্দি ক্রেতা সাধারণ। দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল লোকজনের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
কজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, তরকারী, মাছ, মুরগী ও ডিম দোকানে কাহিল অবস্থা বিরাজ করছে। ক্রমেই দাম বেড়েই চলেছে। দিনমজুরেরা দৈনিক আয়ের সাথে বর্তমান বাজারে হিসেবে মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও মানসম্মত উপায়ে খেতে পারছেনা অনেকে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেন্ডি ৪০/৫০, কাকরোল ৬০/৭০, আলু ৪৫, কচুরচরা ৬০/৬৫ টাকা দামে বিক্রি করছে। তরকারি বাজারে কাহিল অবস্থা। অন্যদিকে মুরগী, ডিম ও মাছ বিভিন্ন দামে বিক্রি করে বিক্রেতারা। যার কারনে গ্রামীন জনপদের অসহায়, হতদরিদ্র খেটে খাওয়া লোকজনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বললে চলে নিত্যপণ্য।
আলম ও গনি নামের দিনমজুরেরা জানান, সারাদিন কাজকর্ম করে যা আয় করি তা দিয়ে পরিবার পরিজনের ভরনপোষণ সংকুলান হয়না। পরিবারের নানা চাহিদা থাকা সত্তেও পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
চালক তাহের জানান, ৫ শত টাকায় কাঙ্খিত তরিতরকারি কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে বর্তমান বাজার দর হিসেব। আমরা যারা অসহায় ও হতদরিদ্র তারা কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে মহাচিন্তিত। যেন নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এমন অবস্থা বর্তমানে।
You must be logged in to post a comment.