কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও-রামুর পাহাড়ী এলাকা ঈদগড়ের যাতায়াত সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে চিহ্নিত স্পটগুলোতে গুচ্ছগ্রাম বসানোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার অসহায় লোকজন। এই সড়কটিতে দীর্ঘকাল ধরে এলাকার জনসাধারণ ডাকাত ও অপহরণ চক্রের শিকার। এমনকি ডাকাতদের হাতে উক্ত সড়কে চলাচলের সময় প্রাণও হারিয়েছেন অনেক নিরীহ লোক। এছাড়া মুক্তিপণ দেওয়া থেকে শুরু করে সর্বস্ব হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর প্রতিনিয়ত ঈদগড়ের জনগণ ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে এবং এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ডাকাত ও অপহরণকারী চক্রের কবলে পড়ছে। এই নিয়ে এলাকার সর্বস্তরের জনতা চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। কবে নাগাদ এসব থেকে স্থানীয় জনতা রেহাই পাবে তার কোন নিশ্চিয়তা নেই। অনিশ্চিয়তার মধ্যে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলাচল ও বসতবাড়িতে বসবাস করছে ঈদগাঁও-ঈদগড়ের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জনগণ। তাই এলাকার লোকজন ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের ডাকাতি স্পট হিমছড়ি ও পানেরছড়া এলাকায় প্রশাসন কর্তৃক গুচ্ছগ্রাম বসানোর জন্য গণদাবি জানিয়েছেন।
এদিকে এলাকার একাধিক সাধারণ জনতার মতে, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সমন্বিত উদ্যোগ নিলে গুচ্ছগ্রাম বসানো সম্ভব হবে।
ঈদগড়ে আদিকাল থেকে বসবাসকারী এবং বর্তমানে বসবাসকারীরা ডাকাত, অপহরণকারী ও নানা অপরাধীদেরকে এলাকা হতে নির্মূল করার জন্য বিভিন্ন প্রয়াস চালিয়েও ডাকাতি-অপহরণ বন্ধ না হওয়ায় বর্তমানে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। গুটি কয়েক অপরাধী চক্রের হাতে এলাকার জনগণ আর কতদিন জিম্মি হয়ে থাকবে? ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে এভাবে মানুষ ডাকাত ও অপহরণকারীদের কবলে পড়ছে তা শুনলে বা দেখলে মনে হয় ঈদগড়বাসী অভিভাবকহীন।
এলাকার অসহায় লোকজন নানা পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। তাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা যায়। ডাকাত ও অপহরণকারীদের ভয়ে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত লোকজন দিনের পর দিন কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। তাদের ভয় শুধু একটাই চলার পথে কখন না কখন ডাকাত ও অপহরণকারীদের কবলে পড়ে সবকিছু হারাতে হয়। বহুপূর্বে পানেরছড়া ঢালায় ঈদগড় আর.আর.এফ পুলিশ ক্যাম্পের নায়ক সুষময় চাকমা ডাকাতের গুলিতে নিহত হয়।
এলাকার সুধী মহলের মতে, ঈদগড়-বাইশারী সড়কের বৈদ্যপাড়া এলাকার রাস্তার মাথা সংলগ্ন ধুইল্যাঝিরি এলাকায় পূর্বে প্রায়শঃ ডাকাতি হত। কিন্তু ঐ এলাকায় সরকারিভাবে আশ্রয়ন প্রকল্প তৈরী করায় বলতে গেলে ডাকাতি একেবারে বন্ধ। তাই এলাকার জনসাধারণ সংশি¬ষ্ট প্রশাসন সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুল আবেদন যে, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ডাকাতি স্পট হিমছড়ি ও পানেরছড়া ঢালায় ডাকাতি চিরতরে বন্ধের জন্য গুচ্ছগ্রাম বসানো একান্ত প্রয়োজন।
You must be logged in to post a comment.