হামিদুল হক, ঈদগড়:
ঈদগড়ে শ্বশুর পক্ষের নির্যাতনে এক গৃহবধূর করুণ মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘটিত ঘটনায় রামু থানায় ভিকটিমের পিতা অভিযোগ দায়ের করেছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর নিহতের দাফন ও অভিযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, ঈদগড় বউ ঘাটার মোহাম্মদ ইদ্রিছের পুত্র মো. হাশেমের সাথে একই এলাকার চেংছড়ি গ্রামের মোহাম্মদ ইছমাইলের কন্যা তছলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ে পরবর্তী প্রায় সময় পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে শ্বশুরপক্ষ তছলিমার উপর নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ তার পিতার। নির্যাতনের ঘটনাটি তছলিমা আগে থেকেই স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবুল কাশেম টুলুকে অবহিত করলে তিনি ঈদের পরে বিষয়টি মিমাংসার আশ্বাস দেন।
এদিকে ঈদুল আযহার দিনও শ্বশুরপক্ষ তছলিমার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তাররা তছলিমাকে মৃত ঘোষণা করার সাথে সাথে স্বামীসহ শশুরপক্ষের লোকজন লাশ ফেলে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। ওইদিন রাত ১১ টায় নিহতের পিতা মোহাম্মদ ইছমাইল খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে গিয়ে তার মেয়ের লাশ স্বনাক্ত করেন। তিনি সেখান থেকেই সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বারকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করেন। পরে মেম্বারও হাসপাতালে গিয়ে পুরো বিষয়টি অবগত হয়ে রামু থানার অফিসার্স ইনচার্জকে অবহিত করেন। থানা কর্তৃপক্ষ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির জন্য এক এসআইকে হাসপাতালে পাঠান। এসআই লাশের শরীরে মারধরের একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে সেখানে অবস্থানরত ইউপি সদস্যকে জানান বলে এ প্রতিনিধিকে তিনি নিশ্চিত করেন।
ময়না তদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে পারিবারিকভাবে নিহতের দাফন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা ওইদিনই রামু থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। ইউপি মেম্বার আবুল কাশেম টুলু তছলিমার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিন বক্তব্য নেয়ার জন্য শ্বশুর পক্ষের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। মাকে হারিয়ে একমাত্র কন্যা সন্তান পড়েছে চরম বিপাকে।
You must be logged in to post a comment.