সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / উখিয়ায় ইউপি নির্বাচনের হালচাল-৮ : দলের চেয়ে ব্যক্তি ইমেজটায় ভোটারদের কাছে প্রাধান্য পাবে : দলীয় পরিচয় গৌণ হয়ে পড়ে

উখিয়ায় ইউপি নির্বাচনের হালচাল-৮ : দলের চেয়ে ব্যক্তি ইমেজটায় ভোটারদের কাছে প্রাধান্য পাবে : দলীয় পরিচয় গৌণ হয়ে পড়ে

Election - 8 (a)হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :

কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বিগত দিনে এ উপজেলার বিএনপি, জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের নামে অসংখ্য মামলা হয়েছে। ওইসব মামলায় ইউনিয়ন নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের হয়রানির আশঙ্কাও রয়েছে নেতাকর্মীদের। তবে পাঁচ বছর পর আগামী মার্চের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও জামায়াতসহ অন্যান্য দলেরও অনেক প্রার্থীর নামই প্রচার-প্রচারণা ও আলোচনায় দলীয় নেতাকর্মীসহ ভোটারদের মুখে মুখে ঠাঁয় পাচ্ছে।

আসছে মার্চে নির্বাচন হবে এমন সংবাদে গত ঈদুল আজহার সময় থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা কৌশলে মাঠে প্রচারণায় নামেন। অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী মনে করছেন দলের চেয়ে ব্যক্তি ইমেজটাই ভোটারদের কাছে প্রাধান্য পাবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচনে অনেক সময় দলীয় পরিচয়টা গৌণ হয়ে পড়ে। ফলে ক্লিন ইমেজধারী প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি দলের কাছে সবসময়ই গুরুত্ব পেয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিতায় চেয়ারম্যান মেম্বার পদে ক্লিন ইমেজধারী নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

কেন্দ্রের নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই তারা দলীয় প্রার্থী বাছাই করে চুড়ান্ত তালিকা তারা কেন্দ্রে পাঠাবেন। তবে এখানকার তৃণমূল নেতাদের দাবি ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মতামতের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী নির্ধারণের। পাঁচ ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় যারা রয়েছেন তারা হলেন, উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, যুবলীগ সভাপতি মুজিবুল হক আজাদের নাম উঠে আসছে।

দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাধ্য মতো জনগণের সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি। শিক্ষা, সাস্থ্যসেবা স্যানিটেশন, বাল্যবিবাহ, যোগাযোগের ক্ষেত্রে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নসহ বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছি। জনগণের পাশে ছিলাম, এখনো আছি ভবিষ্যতেও থাকার কথা ব্যক্ত করে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদি।

বিএনপি থেকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক চেয়ারম্যান শাহকামাল চৌধুরীর নাম শুনা যাচ্ছে।

জামায়াত ইসলামী থেকে এ ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল ফজল জানান, ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১টিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে। তবে ৪ নং রাজাপালং ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, উখিয়া উপজেলার সাবেক আমীর এডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান ও খয়রাতি পাড়ার কৃতি সন্তান হার্ডবার্ড কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট কক্সবাজার সানিবীচ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সভাপতি ও হিমছড়ি পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী।

এব্যাপারে মহিউদ্দিন চৌধুরীর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, একজন সমাজকর্মী হিসেবে এলাকার মানুষের পাশে থেকে কাজ করার স্বপ্ন আমার দীর্ঘদিনের। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার পুরোপুরি প্রস্তুত আছি।

পালংখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ ও সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল হোসনের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন জুয়েল।

বিএনপি থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আহমদ। জামায়াতে ইসলামী থেকে শিক্ষানুরাগী বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাফেজ শাহ আলম ও কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্র নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান। রত্নাপালং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল মনছুর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আদিল উদ্দিন চৌধুরী আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা।

বিএনপি থেকে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য বর্তমান ও সাবেক এমপির আস্থাভাজন খাইরুল আলম চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী। জামায়াতের একক চুড়ান্ত প্রার্থী উখিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মৌলানা আবুল ফজল। হলদিয়া পালং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ থেকে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল হক আমিন ও মাহবুব আলম চেীধুরী।বিএনপি থেকে সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সিকদার, শামশুল আলম বাবুল, সাইফুল্লাহ সিকদার, এডভোকেট আবদুর রহিম, জালিয়াপালং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ থেকে সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম ও কায়সারের নাম শুনা যাচ্ছে। বিএনপি থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।

জামায়াত থেকে শহীদ আবু নাছেরের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ অথবা তার ছোট ভাই। কক্সবাজার বাংলাদেশ বেতারের ইসলামী আলোচক নুরুল হাসান আজাদ যুক্তিবাদি বলেন, বাশিঁর সুরের কথার ফুলঝুড়ি আর কথই বা শুনবো, নির্বাচন এলে অনেক নেতাদের কথার ফুলঝুড়ি শুনা যায়। নির্বাচনের পরে ঐ নেতাদের আচরণ মানুষকে কষ্ট দেয়। প্রকৃত নেতার খুবই অভাব।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/