কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের রেজিষ্ট্রেশন করতে না পারায় শত শত ভোটার ২আগস্ট রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা তথ্য সংগ্রহকারী কর্তৃক ফরম সংকটের অজুহাত তুলে ভোটার না করার অভিযোগ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রামবাসীকে ভোটার করার আশ্বস্থ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
২৫ জুলাই সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উখিয়ার ৫ ইউনিয়নে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ৫৯ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১৩ জন সুপারভাইজার ৫ ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করছে। সাম্প্রতিক সময়ের অতি বর্ষণের ফলে ভোটার তালিকা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পর গত দুই দিন ধরে আকাশ পরিস্কার থাকায় ভোটারেরা ভোটার হওয়ার জন্য হন্য হয়ে ঘুরছে। ফলে ইউনিয়ন পরিষদে কার্যক্রম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় কর্মচারীরা হিমশিম খাচ্ছে। রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, ভোটারদের বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করার জন্য নির্ধারিত সময়ের পরেও ইউনিয়ন পরিষদ খোলা রেখে কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক সেবায় রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফরম সংকটের গুজব ছড়িয়ে পড়ায় ভোটারেরা শংকিত হয়ে পড়েছে।
রাজাপালং ১নং ওয়ার্ডের শতাধিক ভোটার গতকাল রোববার ১১টার দিকে উখিয়া উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তথ্য সংগ্রহকারী ও দায়িত্বরত সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে ফরম না দেওয়ার বিষয়টি অবহিত করেন। রাজাপালং ১নং ওয়ার্ডের আব্বাস উদ্দিন মাবুদ জানান, রাজাপালং ১নং ওয়ার্ডে এ পর্যন্ত ২শত ভোটার রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেনি। তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা ফরম না দেওয়ার কারণে ভোটারেরা উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছে। এ সময় দায়িত্বরত সুপারভাইজার জাহিদুল ইসলাম জানান, তার আওতায় ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের জন্য সরবরাহকৃত ৬৫০টি ফরম শেষ হয়ে গেছে। তিনি আরো ভোটার ফরম প্রয়োজন রয়েছে বলে মুঠোফোনে নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানান। নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, তাদের কাছে যথেষ্ট ফরম রয়েছে। সুপারভাইজারেরা চাইলে ফরম যথাসময়ে সরবরাহ দেওয়া যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস যে কোন মূল্যে ভোটার হওয়ার আশ্বস্থ করলে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়।
You must be logged in to post a comment.