পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নে সম্প্রতি বন্যায় বিধ্বস্ত ২৫০ পরিবারের মধ্যে কমপক্ষে সহস্রাধিক লোকজন বেড়িবাঁধে বসবাস করে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের পশ্চিম উজানটিয়া এলাকার মিয়াপাড়া, নতুনপাড়া, সাইটপাড়া এলাকার ২৫০ পরিবার সাম্প্রতিক বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কবির হোসেন, জাগের হোসেন, মোহাম্মদ হোসনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বন্যায় তাদের বসতবাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এরপর সরকারী বা বেসরকারীভাবে কোন সাহায্য না পাওয়ায় তাদের বিধ্বস্ত ঘরগুলি পুন:মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তাদের কোন ধরনের সামর্থ না থাকায় উপায়হীন হয়ে পশ্চিমউজানটিয়া ঘাট এলাকায় পাউবোর বেড়িবাঁধের উপর পলিথিনের ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ দুই মাস যাবত্ বসবাস করে আসছে। ওই পাউবোর বেড়িবাঁধের উপর বসবাসকারী লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা অধিক কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করছে।
তাছাড়া তাদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির সংকট ও খাদ্য সংকট চরম আকারে দেখা দিয়েছে। তারা বিশুদ্ধ পানির সংকটে বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এলাকার সমাজ সেবক রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টু জানান, মহিলাদের টয়লেট সংকট তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, আশ্রয় নেওয়া অধিকাংশ লোকজন মত্স্য ঘের ও লবণ চাষের উপর নির্ভরশীল। গত বছর লবণ মৌসুমে লবণ উত্পাদন কম হওয়ায় ও লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এলাকার লবণ চাষীরা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তথ্য সুত্রে জানা যায়, লবণ শিল্পের পাশাপাশি সাম্প্রতিক বন্যায় সমস্ত মত্স্য ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। তাছাড়া মত্স্য ঘেরে মড়ক দেখা দিলে মাছ মরে যাওয়ায় চাষীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন। যার কারনে এলাকার অসহায় ও আশ্রিত জনগোষ্ঠীর মাঝে চরম অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুর রশিদ খান জানান, সরকারী/বেসরকারী সাহায্য আসলে অবশ্যই বন্যায় বিধ্বস্ত ২৫০ পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.