সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করল বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করল বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

শুরু হলো কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের খনন কাজ। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় খনন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

পরে সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। চট্টগ্রামকে আধুনিক ও গতিশীল নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা করা প্রয়োজন, সবই করবে তার সরকার।

টানেল যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। এ নিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলজুড়ে সাজ সাজ রব।

প্রমত্তা কর্ণফুলীর স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত না করেই পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটারের মাল্টি লেনের বঙ্গবন্ধু টানেল। রোববার সকালে নগরীর নেভাল একাডেমির পশ্চিম প্রান্ত থেকে এর দুইটি টিউবের খনন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই এলাকা থেকে চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সুধি সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এত বিশাল একটা নদীর নিচ দিয়ে প্রথম টানেল বাংলাদেশেই নির্মাণ করা হচ্ছে। আনোয়ারা থেকে পটিয়া পর্যন্ত এবং পটিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চার লেনের যে রাস্তা হচ্ছে সেই রাস্তা পর্যন্ত সংযোগ রাস্তাটাও আমরা করে দেবো।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রকল্পগুলোর প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, এভাবেই ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, শুধু যোগাযোগের সুবিধা নয়, ব্যবসা বাণিজ্য শিল্পায়ন সবকিছুরই উন্নতি হবে, সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শুধু শহরভিত্তিক উন্নয়ন না, তৃণমূল পর্যায়-গ্রাম পর্যায় থেকে যেন উন্নয়নটা হয়, সেদিকে লক্ষ রেখেই আমাদের পরিকল্পনা নিয়েছি। দেশের মানুষ তার সুফলটা পেতে শুরু করেছে। গ্রামের মানুষ আরো সুন্দরভাবে যেন বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন পেতে পারে, সকল নাগরিক সুবিধা পেতে পারে তার ব্যবস্থা আমরা করবো।

সরকারপ্রধান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যার ঘনত্বের কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ বিনির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার। চট্টগ্রামসহ উপকূল এলাকা ঘিরে মহা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে, সেটিকে ধরে রেখে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ২০২২ সালে এই টানেলের কাজ শেষ হবে, আমরা মনে করি, তারপর আরো ব্যাপকভাবে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে।

২০২২ সাল নাগাদ শেষ হবে এসব প্রকল্পের কাজ। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ৮০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে দুইটি লেনে।

সূত্র:somoynews.tv-ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

আজ মহান মে দিবস, May Day, https://coxview.com/may-day-2/

আজ মহান মে দিবস

  নিজস্ব প্রতিনিধি :আজ ১ মে, বুধবার। মহান মে দিবস। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদ্‌যাপন ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/