কক্সবাজার বাস্তুহারালীগের সভাপতি অপহরণের একঘন্টা পর উদ্ধার : অপহরণকারী আটক
মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজার জেলা বাস্তুহারালীগের সভাপতি মাষ্টার এনামুল হককে অপহরণের একঘন্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী দলের নেতা জিন্নাত আলীকে আটক করা হয়।
আজ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উদ্ধার ও আটকের ঘটনা ঘটে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই আবদুল মজিদ বাদি হয়ে থানায় এজাহার দিলেও মুক্তিপণ দাবি কথা লেখায় ওই এজাহারটি রাত ১০টা পর্যন্ত মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়নি।
অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া মাষ্টার এনামুল হক চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মেধাকচ্ছপিয়ার মৃত শফিউল আলমের ছেলে ও বাস্তুহারালীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি।
আটক জিন্নাত আলী চিরিংগা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা ও ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
বাদি আবদুল মজিদ এজাহারে দাবি করেছেন, তার বড় ভাই এনামুল হক রাজনৈতিক কাজে কক্সবাজার শহর থেকে চকরিয়া আসছিলেন। এসময় ফাঁসিয়াখালীস্থ ঝনঝনি ব্রীজ এলাকায় পৌছলে তাকে কৌশলে গাড়ি থেকে নামিয়ে এক কিলোমিটার অদুরে নিয়ে যায়। ওই সময় তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে জিম্মী করে রাখে। এলাকার লোকজন থেকে এখবর পেয়ে থানার এসআই মাহাবুব ও এসআই এনামুল হক পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত এনামুল হককে উদ্ধার করে এবং অপহরণে জড়িত অভিযোগে জিন্নাত আলীকে আটক করে।
উদ্ধার হওয়া এনামুল হক গতরাতে থানা কম্পাউন্ডে বলেন, আমাকে অপহরণের ঘটনায় ছোট ভাই আবদুল মজিদ বাদি হয়ে থানায় এজাহার দিলেও ওসি পরামর্শ মতো মুক্তিপণ দাবির কথাটি এজাহার থেকে বাঁধ না দেয়ায় মামলা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তাই মামলা না নেয়ার ঘটনাটি আমি মুঠোফোনে জেলা পুলিশ সুপার ও চট্টগ্রামের ডিআইজকে অবহিত করেছি। প্রয়োজনে আরো উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নালিশ জানাবো।
এব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা দুই অফিসার মুক্তিপণ দাবি ঘটনাটি প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কারো কাছ থেকে জানতে না পারায় এজাহার থেকে মুক্তিপণের বিষয়টি বাঁধ দিতে বলা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.