অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:
কক্সবাজার শহরতলির কলাতলি টিএন্ডটি টাওয়ার সংলগ্ন পাহাড়ে জমির দখল নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১জন নিহত ও ১০ নারী গুলিবিদ্ধ হওয়া খবর পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ও একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কলাতলি টিএন্ডটি টাওয়ার সংলগ্ন পাহাড়ে কয়েক কোটি টাকার জমি দখল নিতে স্থানীয় সন্ত্রাসী সাজ্জাদ, দেলোয়ার, মিটু এর নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ হানা দেয়। ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর রাতে সংগঠিত ঘটনায় সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থানকৃত অপর একটি সশস্ত্র গ্রুপের সাথে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলির আওয়াজে পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে রোহিঙ্গা নারী রোজিনা আকতার (৩৫), হাসিনা বেগম (২৮), খুরশিদা বেগম (৩০) ও ফাতেমা বেগম (২৮) সহ ১০ জন।
আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিকে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ফাতেমা বেগম নামের এক নারীকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
একটি ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা ইলিয়াছ জানিয়েছেন, তার দখলীয় জমি হতে উচ্ছেদ করার জন্য অপর একটি গ্রুপ সন্ত্রাসীরা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহত ব্যক্তি ও গুলিবিদ্ধ আহত নারীরা তার বাসার ভাড়াটিয়া বলে দাবী করে তিনি আরো জানিয়েছে, রাতের আধাঁরে ওই সব বসতঘরের ভাড়াটিয়াদেরকে জোর করে বাসা থেকে বের করার চেষ্টা করলে তারা সন্ত্রাসীদের বাঁধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে বাসাবাড়ি সহ মূল্যবান জমি দখলে নিয়েছে।
সরকার দলীয় একটি পক্ষের প্রত্যক্ষ সর্মথনে কেন, কি কারণে এবং কাকে লাভমান করার জন্য এ ঘটনা সংগঠিত করেছে এ বিষয়ে এই ইলিয়াছ বিস্তারিত জানাতে পারেনি।
তবে স্থানীয় লোকজন বলেন, গত কিছুদিন ইতিপূর্বে সন্ত্রাসী কায়দায় এই জায়গাটি দখলে নিয়েছিল ইলিয়াছ বাহিনী। কিছুদিনের ব্যবধানে ফের বেদখল হলো মূল্যবান জমিটি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আছলাম হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ২ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসংগত, কলাতলির বিভিন্ন পাহাড়ে সরকারী খাস ও বনবিভাগের পাহাড়ি জমি অবৈধ দখল করে একাধিক বসতঘর তৈরি করেছে ভূমিদস্যু ইলিয়াছ। অবৈধ এসব বসতঘরের ভাড়াটিয়া হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এসব ভাড়াটিয়া নারীদের ব্যবহার করে ইলিয়াছ ভূমিদস্যুতার কাজ দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ।
You must log in to post a comment.