কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির ১০ জন সদস্যের মৃত্যুতে ফুলকোর্ট রেভারেন্স ও শোকসভা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য প্রয়াত অ্যাডভোকেট পীযুষ কান্তি চৌধুরী, মরহুম অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. মোহসিনুল হক, মরহুম অ্যাডভোকেট সুলতান আহমদ (১), মরহুম অ্যাডভোকট কামাল উদ্দীন আহমদ, প্রয়াত অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র দে, মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুল আলম, মরহুম অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া (১), মরহুম অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন (১), মরহুমা অ্যাডভোকেট রাবেয়া বেগম (২) এবং মরহুম অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এর মৃত্যুতে নির্ধারিত ‘ফুলকোর্ট রেভারেন্স’ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দীন এর সভাপতিত্বে তাঁর এজলাস কক্ষে অদ্য ৯ নভেম্বর সকাল ১০.৩০ টায় আরম্ভ হয়।

ফুলকোর্ট রেভারেন্সের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নেজামুল হক। পবিত্র গীতা পাঠ করেন অ্যাডভোকেট মৃণাল চক্রবর্তী, পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ করেন অ্যাডভোকেট আশীষ বড়–য়া। মরহুম অ্যাডভোকেটগণের জীবন বৃত্তান্তসহ শোকপত্র পাঠ করেন কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। জেলা ও দায়রা জজ মহোদয় সমাপনী বক্তব্য প্রারম্ভে অ্যাডভোকেটগণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে একমিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন এবং ‘ফুলকোর্ট রেভারেন্স’ ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মৃত্যুবরণকারী সদস্যগণের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা ও তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও সদগতি কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে মোনাজাত করা হয়। উক্ত ফুলকোর্ট রেভারেন্স অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক।

অতঃপর জেলা ও দায়রা জজ এর এজলাস কক্ষ হতে ফুলকোর্ট রেভারেন্স শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে সমিতির সম্মানিত সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে সকাল ১১.৩০ মিনিটের সময় প্রয়াত অ্যাডভোকেট পীযুষ কান্তি চৌধুরী, মরহুম অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. মোহসিনুল হক, মরহুম অ্যাডভোকেট সুলতান আহমদ (১), মরহুম অ্যাডভোকট কামাল উদ্দীন আহমদ, প্রয়াত অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র দে, মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুল আলম, মরহুম অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া (১), মরহুম অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন (১), মরহুমা অ্যাডভোকেট রাবেয়া বেগম (২) এবং মরহুম অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এর স্মরণে শোকসভা আরম্ভ হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক।

উক্ত শোকসভায় স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন অ্যাডভোকেট মোঃ রাশেল, পবিত্র গীতা পাঠ করেন অ্যাডভোকেট মৃণাল চক্রবর্তী, পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ করেন অ্যাডভোকেট আশীষ বড়ুয়া। পরবর্তীতে স্মৃতিচারণ সভায় বক্তব্য প্রদান করেন যথাক্রমে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট তৌহিদুল এহেসান, অ্যাডভোকেট মোঃ খোরশেদ আলম বুলু, অ্যাডভোকেট আবু ছিদ্দিক ওসমানী, অ্যাডভোকেট আবু হেনা, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শ্রীধর দত্ত বাদল, অ্যাডভোকেট মোঃ আখতার উদ্দিন হেলালী, অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম, অ্যাডভোকেট আবু ছিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মমতাজ আহমদ, অ্যাডভোকেট মোঃ সুলতানুল আলম, অ্যাডভোকেট নুরুল মোস্তফা মানিক, অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউনুছ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক, অ্যাডভোকেট মোঃ আবু হেনা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গোলাম মোফস্তা, অ্যাডভোকেট মমতাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোঃ আহসান উল্লাহ, অ্যাডভোকেট শ্যামল কান্তি চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট মোঃ কাশেম আলী, অ্যাডভোকেট শহীদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ, প্রয়াত পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুম অ্যাডভোকেট এ.কে.এম মোহসিনুল হক এর পুত্র রিজওয়ানুল হক, প্রয়াত অ্যাডভোকেট পীযূষ কান্তি চৌধুরীর কন্যা অ্যাডভোকেট অনিন্দিতা চৌধুরী শোক সভায় বক্তব্য রাখেন। উক্ত শোক সভায় মোনাজাত পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নেজামুল হক।

উল্লেখ্য যে, পীযূষ কান্তি চৌধুরী অ্যাডভোকেট বিগত ১১ মে বেলা ৩ ঘটিকার সময় বার্ধক্যজনিত কারণে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ৭৫ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন। পরদিন ১২ মে সকাল ১০ ঘটিকার সময় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শশ্মানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ.কে.এম মোহসিনুল হক অ্যাডভোকেট ১৩ অক্টোবর রাত ১০.৩০ টার সময় চকরিয়াস্থ বাস ভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। পরদিন ১৪ অক্টোবর, দুপুর ২ টার সময় কক্সবাজার পৌরসভার উমিদীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ বিগত ৩১ অক্টোবর, সকাল ৯.২৫ টার সময় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। একইদিন নিজ গ্রামের বাড়ী বালুখালীতে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। কামাল উদ্দিন আহমদ অ্যাডভোকেট বিগত ১৫ এপ্রিল, দুপুর ১২.১০ মি: সময় বার্ধক্যজনিত কারণে ৮৩ বছর বয়সে নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন। এদিন সন্ধ্যা ৭.১৫ মিনিটের সময় স্থানীয় পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়। বাবু অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র দে বিগত ২১ অক্টোবর সকাল ১০ ঘটিকার সময় কোলন ক্যান্সারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম ম্যাক্স হাসপাতালে ৬৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং একইদিন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শশ্মানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। শামশুল আলম অ্যাডভোকেট বিগত ৮ জানুয়ারি রাত ১০.৫০ মিনিটের সময় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। পরদিন ৯ জানুয়ারি, সকাল ১০ ঘটিকার সময় কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় পরবর্তীতে মরহুমের ২য় জানাজা শেষে মরহুমের গ্রামের বাড়ী টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের পেন্ডল পাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া-১ বিগত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫.২৩ ঘটিকার সময় হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সিসিইউ’তে ৫৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর, সকাল ১০ ঘটিকার সময় তাঁর গ্রামের বাড়ী পেকুয়া গোয়াখালী ফতেহ আলী মাতবরপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন (১) বিগত ১১ জুন সকাল ৮ ঘটিকার সময় হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে চকরিয়া ম্যাক্স হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে মরহুমের বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। একইদিন দুপুর ২ টার সময় চকরিয়া কমিউনিটি সেন্টার মাঠে (উপজেলা আদালত সংলগ্ন) মরহুমের ১ম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে মরহুমের নিজ গ্রামের বাড়ী পেকুয়ায় ২য় জানাজা শেষে স্থানীয় পারিবারিক কবরস্থানে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়। রাবেয়া বেগম অ্যাডভোকেট বিগত ২৫ মার্চ ভোর ৫.৪৫ ঘটিকার সময় অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে মরহুমার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। একইদিন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ছুরতিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে মরহুমার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয় এবং সিরাজুল মোস্তফা অ্যাডভোকেট গত ৬ জানুয়ারি রাতে নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন। পরদিন ৭ জানুয়ারি বিকেল ৪.৩০ মিনিটের সময় করাইয়াঘোনা পুরাতন জামে মজজিদ মাঠ প্রাঙ্গনে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।